মেঘলা আকাশ মেঘলা দিনে -জমছে মেলা দিনে দিনে

book fair

OLYMPUS DIGITAL CAMERAমেঘলা আকাশ মেঘলা দিনে -জমছে মেলা দিনে দিনে। আকাশটা আজ এমনই মেঘলা ছিল যেন কবি সাহিত্যিকদের লেখার উপাত্য ফিরিয়ে দিল। আজ বাংলা একাডেমিতে ছিল শিশুপ্রহর। আর এই মেঘলা দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ছিল গত সপ্তাহের চেয়ে শিশু সমাগম বেশি। শিশুরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে দুলে দুলে মেলায় ঘুরছিল আর পছন্দের বই কিনছিল। তাদের প্রাণে ছিল উচ্ছালনা ঢেউ।

শিশুপ্রহর শেষ হওয়ার পর বিকেল আসতে শুরু করে মেলার স্বাভাবিক দর্শনর্থীরা। মেলার দিন যত শেষ হচ্ছে লোকসমাগম প্রতিদিনই যেন বাড়ছে।

শিশুপ্রহরে কথা হয় সাইফা বিনতে আমিনের সাথে ছোট্ট এই শিশু বলে, “আমি আমার বাবা মার সাথে মেলায় এসেছি। মেলায় খুব আনন্দ হচ্ছে। মেলায় ঘুরতে আমার খুব ভাল লাগে”।

সে বলে, “আজ আমি মজার মজার কার্টুন, কৌতুক ও গল্পের বই কিনেছি। বাসায় গিয়ে এগুলো পড়ব”।

কথা হয় তার বাবা রুহুল আমিনের সাথে তিনি বলেন, “আমি স্বপরিবারে মেলায় এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি বইয়ের সাথে যেন তাদের একটা সর্ম্পক গড়ে ওঠে”।

তিনি বলেন, আমি মনে করি বই পারে একটা বাচ্চাকে সুনিপুনভাবে গড়ে তুলতে।

মেলায় কথা হয় তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. রাশেদুল ইসলামের সাথে, রাশেদ অর্থসূচককে বলেন, এবারের মেলায় আজ প্রথম এসেছি ভালই লাগছে।

তবে মেলা দু’জায়গায় হওয়ায় ভালই হয়েছে, মেলার আয়তন বেড়েছে। কিন্তু কোন দিক নির্দেশনা মূলক প্রচারনা না থাকায় আমাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।

তিনি বলেন, শাহবাগ, টিএসসি ও দোয়েল চত্ত্বরে যদি মেলার দিক নির্দেশনা মূলক কোন ব্যানার, পোস্টার কিংবা ফেষ্টুন থাকতো যাতে উল্যেখ থাকতো বাংলা একাডেমিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাহলে অনেক সুবিধা হতো। আমরা মিডিয়া সেন্টারে গিয়ে সাংবাদিক ভাইদের সাথে বিরক্ত করছি।

তবে তিনি বলেন, শিশুপ্রহর স্কুল-কলেজ খোলার দিন হওয়ায় অনেকে আসতে পারেনি। আমার দুই ছেলে মেয়ে কলেজে তারাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে আসতে পারিনি। তাই আমার প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিবেন।

এসএস/সাকি