
১১৮তম আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে বাংলাদেশের ফেডারেশন কাপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব থেকে নাটকীয় ভাবে জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা মোহামেডান।
শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় দূর্দ্ধান্ত লড়ায়ের পর শেষ পর্যন্ত ট্রাই ব্রেকারের মাধ্যমে জয় লাভ করে কলকাতা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ১/১ গোলে কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ জামাল ব্যাপক লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত কেউ গোল দিতে নাপারায় ট্রাই ব্রেকার দিতে বাধ্য হন রেফারি।
টাই ব্রেকারে ৫-৪ গোলে হেরে গিয়ে আইএফএ শিল্ডের শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়া হলো না ধানমন্ডির এই ক্লাবটির।
সেই সাথে প্রথম বারের মতো কোন বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ড রানার্স আফের স্বাদ ফেল শেখ জামাল। যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ম্যাচটি।
ম্যচে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন শেখ জামালের সনি। ম্যাচের ২৭ মিনিটে সনি নর্দে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক গোল করে এগিয়ে নেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।
কিন্তু প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে কলকাতা মহামেডানের মেরাজউদ্দিন গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
এর আগে ১৯৯৫ সালে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এ ফুটবল আসরটির ফাইনালে খেলেছিল ঢাকা মোহামেডান। ওই আসরে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হেরে রানার্সআপ শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সাদা-কালো শিবিরকে। এটাই ছিল আইএফএ শিল্ডে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আইএফএ শিল্ডের ১১৮তম আসরে গ্রুপ পর্বে এই মোহামেডানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাত্রা শুরু হয়েছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। পরের দুই ম্যাচে সিকিম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে এবং মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছিল হলুদ-নীল শিবির। এটি ছিল আইএফএ শিল্ডে মোহনবাগানের বাংলাদেশের কোন ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম হার। সেমিফাইনালে ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে খেলছে যোসেফ আফুসির শিষ্যরা। এটিও ছিল ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ক্লাবের প্রথম জয়।
অতিরিক্ত সময়ের ৪ মিনিটে জসিমারের পাস থেকে ডিবক্সের ভিতরেই বল পান মোহামেডানের বিদেশী ফরোয়ার্ড পেন। অতিরিক্ত সময়ের ২৬ মিনিটে জামালের বদলি খেলোযাড় আলির নেয়া শট আটকে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক লুইস। ফলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শেষে খেলা গড়ালো টাইব্রেকারে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: মাজহারুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, ইয়ামিন আহমেদ, লিংকন, তিবারুল হক, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, ইয়াসিন খান, ওয়েডসন, সনি নর্দে, এমেকা ডালিংটন
কোলকাতা মোহামেডান: লুইস, নিরমল, লুসিয়ানো, মেহরাজ উদ্দিন, ধনরাজউদ্দিন, নবি, মনিশ, রাকেশ, ইশফাক, পেন, জসিমার।
রেফারি: সন্তোষ কুমার