রাজনৈতিকভাবে আ. লীগ দেউলিয়া: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে, এ জন্য প্রতিপক্ষের কর্মীদের ক্রসফায়ার, গুম আর গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ভাষা আন্দোলন ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, ৭৫ সালে মানুষের ওপর যেভাবে নির্যাতন চালানো হযেছে এখনও সেভাবেই বিরোধীদলের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতেই সরকার এই পথ বেচে নিয়েছে।

সরকার আইন শৃংখলাবাহিনীর অস্ত্রের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন্ত্রীদের পায়ের নিচে মাটি নাই। তাই তারা হুংকার ছুড়ে বলছেন ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে ৫ বছর কেন ৫ মাসও টিকতে পারবেন না।

আ’লীগের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছে। ভোটার ছাড়া নির্বাচন করে দাম্ভিকতা করা হচ্ছে। কেউ আবার সোনার মুকুট উপহার নিচ্ছে। কেউবা আবার বলছে নগদ দাও। আজ পর্যন্ত কোনো শাসক বন্দুক গুলি আর স্বৈরচারি পথ অবলম্বন করে টিকতে পারেনি, আ.লীগও পারবে না। ইতিহাস তা সাক্ষ্য দেয়।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে। খুব দ্রত সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আ.লীগ ভালো সার্কাস দেখাতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আ.লীগ ছলচাতুরি করে গায়ে রঙ মেখে সঙ সেজে সার্কাসে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে। জাতি এ সার্কাস থেকে মুক্তি চায়।

মিছিল, সমাবেশ মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার জনগণের এসব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফেরত চায়। তাই এখনও সময় আছে জাতির সঙ্গে তামাসা বন্ধ করে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সত্য সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার হরণ করেছে। সঠিক সংবাদ প্রকাশে আপনার বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছেন। এ সরকার গণমাধ্যম বিরুধী সরকার।

আ.লীগ তাদের ছাড়া কাউকে স্বীকৃতি দেয় না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হলেও তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। স্বাধীনতার সময় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন, সর্বাধি নায়ক এমএজি ওসমানীকে স্বীকৃতি দেয়নি তারা। কারণ আ.লীগ নিজেদের ছাড়া কাউকে স্বীকৃতি দিতে জানে না। এটা তাদের জাতীগত অভ্যাস।

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী স্মৃতি সংসদের সাবেক সভাপতি নূর মো. খান, জাতীয় পাটির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফরু, ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সাবেক মন্ত্রী এস এম আবদুল হালিম প্রমুখ।

জেইউ/