ব্যান্ডউইথের খবরে তুঙ্গে সাবমেরিনের শেয়ার

Bangladesh Submarine cable companyঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক গেইনারে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) শেয়ার । সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির  শেয়ারের।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির খবরে সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি ছিল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। এতে গত সপ্তাহে লেনদেন ও দর বেড়েছে শেযারের।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সাবমেরিন ক্যাবলের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ২৮ কোটি টাকার।সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে লেনদেন। গত নয় কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৬৫ টাকা থেকে ২১৫ টাকা পর্যন্ত।

জানা যায়, শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ২১৬ টাকা। এদিন কোম্পানির শেয়ার দর ২১৪ টাকা থেকে ২২৫ টাকা পর্যন্ত ওঠা-নামা করে।

কোম্পানির ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ শেয়ার ৪ হাজার ৩৯৬ বার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

উল্লেখ গত দুই সপ্তাহ ধরেই বিনিয়োগকারীদের মাঝে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারে এই কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি, রোববার আন্ত:মন্ত্রণালয় বেঠকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ওই দিনও কোম্পানিটি গেইনারের শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়।

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যান্ডউইথ সামর্থ ২৫০ গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ড (জিবিপিএস)। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের রয়েছে ২০০ গিগাবাইট। দেশে বর্তমানে মাত্র ৪২ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়।বাকী ২০৮ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথই অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। তবে ২০২১ সাল নাগাদ ব্যান্ডউইথের চাহিদা বেড়ে ২২০ জিবিপিএস হতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করা হচ্ছে। তাই ৫০ গিগাবাইটের মত ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। আর এ পরিমাণ ব্যান্ডউইথ রপ্তানি থেকে আয় হবে প্রায় ৪০ কোটি  টাকা।

এসএ/