
ভালোবাসার দাবি শুধু মানুষের মাঝে ব্যাপৃত নয়, বরং অন্যান্য প্রাণীরাও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনুভব করে এই আদিমতম আকর্ষণ। তাদের ভালোবাসা আদিম, অকৃত্রিম এবং বুনো। তাদের কো্নো দিবস নেই, নেই পরিণয়ের কোনো ধরা-বাঁধা নিয়ম। তবে মান-অভিমান আছে, খুনসুঁটি আছে এবং আরও আছে কাছে আসার-কাছে টানার স্বকীয় পদ্ধতি।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি অবলম্বনে এমন চার ‘ন-মানুষ’এর ভালোবাসা প্রকাশের রীতি উপস্থাপন করছে অর্থসূচক-
বানর : এই প্রজাতির ভালোবাসা প্রকাশের রীতিটা বেশ অভিনব। প্রস্তাবটা সচরাচর নারীদের পক্ষ থেকেই আসে এবং আসক্ত নারী বানর দলের শীর্ষস্থানীয় পুরুষদের পাথর ছুঁড়ে জানিয়ে দেয় যে ভালো লেগেছে তাকে। এই স্বভাব লক্ষ করেই হয়তো ডারউইন সাহেব বানরের আত্মীয়তা খুঁজে পেয়েছিলেন মানুষের সাথে।
সিকলিড মাছ : সিকলিডরা প্রেমের ক্ষেত্রে মোঘল সম্রাট শাহজাহানকেই গুরু মানে। পছন্দের মমতাজকে খুঁজে পেলে নুড়ি পাথরের তাজমহল গড়তে ব্যস্ত হয়ে ওঠে পুরুষ সিকলিডরা।
লায়ার বার্ড : পাখিদের মধ্যে এলভিস প্রিসলি বলে ডাকা হয় এই পাখিকে। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নাচের সাথে সাথে গলা ছেড়ে গান গাওয়া শুরু করে দেয় পুরুষ লায়ার বার্ড।
এডিস মশা : মানুষের এই চির শত্রু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রেম নিবেদনে পাখার কম্পনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। আসক্ত মশা কম্পনের অনুনাদ তৈরি করে জানিয়ে দেয়, ‘তোমার ভালোবাসা এমনই সুনামি তুলেছে আমারে হৃদয়ে’।