
ভালোবাসা দিবসকে আরও রাঙিয়ে তুলতে চলছে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর মাঠে ‘কারনিভাল অব লাভ’ অ্যান্ড ফুট ফেস্টিভাল।
মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল দুই দিন ব্যাপী এই বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করেছে ইভেন ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্রুজ কমিউনিকেশন ও ভিভেড বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার মেলার শেষ দিন।
উৎসবে বিভিন্ন আইটেমের খাবার নিয়ে বসেছে ছোট বড় ৩০টি স্টল ও রেস্টুরেন্ট। যেখানে বিক্রি হচ্ছে নানা পদের মুখরোচক খাবার। দর্শনার্থীদের মন ভরাতে চলছে কনসার্ট ‘কারনিভাল অব লাভ’। দ্বিতীয় দিনে চলবে প্রিমিয়ার অব দ্য নিউ এয়ারটেল টেলিফিল্ম ‘ভালোবাসা ১০১’।
দুই দিনের এই আয়োজন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
কথা হয় রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা ‘স্বপ্নীল রান্না ঘর’ স্টলের রোমানা সারমিনের সঙ্গে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ প্রকার পিঠা বিক্রি করছেন তিনি। অর্থসূচককে রোমানা জানান, সকাল থেকে ভালো সাড়া পড়েছে। আশা করছি, বিক্রি ভালো হবে। তিনি আরও জানান, তার স্টলে দোলনা, ঝিনুক, নকশী, বড় ভাবা, ডোনাট, নারকেল, দোলাসহ নানাপদের পিঠা বিক্রি করছেন। যা ৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পাচ্ছেন উৎসবে আসা দর্শকরা।
ঠাণ্ডা গরম স্টলে বিক্রি হচ্ছে দেশিও বিভিন্ন ফলের জুস। জাম, লিচু, বরই, পেঁপে, তেঁতুল, লেবু, আনারস, লটকন, পেয়ারা, আমলকি, তরমুজ, স্ট্রবেরী, কাঁঠালসহ প্রায় ৩৩টি পদের ফলের জুস।
স্টলের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, সব ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ করে এই জুস তৈরি করা হয়ে থাকে। যাতে কোনো কেমিক্যাল মিশানো হয় না বলে জানান তিনি। আর মেলাতে সকাল থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা বেশি বেশি জুস কিনছেন বলে জানান তিনি।
আর টিনা’স ফ্লেভারের বিক্রেতা তাবাসসুম তুবা জানান তার স্টলে ব্রাউনি, শাহী ফুরকা, জিস কেক, মিনি বার্গার, চিকেন টাকি, মিনি পিজ্জা, কলিজার সিংড়াসহ নানা স্বাদের কেক বিক্রি করছেন। তিনি জানান, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই জন্য উৎসবে দর্শনার্থীর ওপরে একটু প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এয়ারটেলের আয়োজন ২দিন ও ফুট ফেস্টিভাল চলবে ৩ দিন। ভিভিডের পরিচালক তাসনিয়া অর্থসূচককে জানান, আমরা এবারের উৎসব নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী। গতবার মেলা ডিসেম্বরে হয়েছিল। তারপরও ভালো দর্শক সাড়া পড়েছিলো। তবে এবার আরও বেশি দর্শক হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটাই সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠান।
এভাবে স্টলগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা পদের খাবার। দর্শনার্থীরা এই উৎসবে এসে অনেক মজা পাচ্ছেন বলে জানান অনেকে।