কমতে শুরু করেছে ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য

Taka

Takaঅবশেষ নিম্নমুখী হচ্ছে ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য। দীর্ঘদিন বাড়তে থাকার পর বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের প্রথম  থেকেই কমতে শুরু করেছে এ হার। মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে তারল্য কমেছে ৫ হাজার ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল ৯৫ হাজার ৫৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। নভেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল ৭২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্থবির অর্থনীতির কারণে প্রতি মাসে ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ বেড়েছে ৫ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকের হাতে উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ২৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১৬ দিনের ব্যবধানে তারল্যের পরিমাণ কমেছে ৫ হাজার ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে প্রয়োজনীয় তারল্য সংরক্ষণের পর রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর কাছে  উদ্বৃত্ত ছিল ৪১ হাজার ২০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। জানুয়ারির ১৬ তারিখে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬৩৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে কমেছে ৩ হাজার ৫৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।  ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় খাতের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে এক হাজার ৬১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা তারল্য উদ্বৃত্ত ছিল কিন্তু এ সময়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কমেছে ৭৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে ৪৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা থাকলেও জানুয়ারির ১৬ তারিখে এটা নেমে এসেছে ৪২ হাজার ৮৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কমেছে ৮২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর  ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ৯ হাজার ৯৮ কোটি এক লাখ টাকার তারল্য ছিল। এখন এর পরিমাণ দাড়িয়েঁছে ৮ হাজার ৯৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ কমেছে ১৬৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে বিনিয়োগ অনেক কমে যায়। আর বিনিয়োগ না থাকায় ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য বাড়তেই থাকে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসায়ীরা নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করেছে। আর বিনিয়োগের জন্য তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে ব্যাংকের হাতে যে উদ্বৃত্ত তারল্য আছে তা কমতে শুরু করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে উদ্বৃত্ত তারল্য আরও কমবে বলে মনে করেন তারা।

এসএই/