
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) উপলক্ষে ঝিনাইদহে চলছে ফুল সরবরাহে ব্যাপক তোড়জোড়। গত কয়েক মাস ধরে নতুন নতুন প্রজাতির ফুল গাছ রোপন ও পরিচর্যায় দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন এখানকার চাষিরা।
ইতোমধ্যে ভালোবাসা দিবসে ফুলের বাজার ধরতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এ বছর ফুল উৎপাদন, চাহিদা ও দাম সবই বেশি হওয়ায় ২০-২২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কালীগঞ্জের বড় ঘি ঘাটি গ্রামের ইনতাজ আলী বলেন, এক সময় ভারত থেকে আমাদের দেশে ফুল আমদানি হতো। আশির দশকের শেষদিকে প্রথম আমাদের এলাকায় ফুলের আবাদ শুরু হয়। তখন থেকেই ফুলের বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। এখন আর ভারত থেকে ফুল আমদানি করতে হয় না। আমরাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে থাকি। ফলে এখানকার চাষীরা বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার কালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কুতুব উদ্দীন জানান, এক মাস আগে এক গুচ্ছ ফুল বিক্রি হত ১২০-১৪০ টাকায়। বর্তমান বিক্রয় হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। দাম পেয়ে চাষীরা খুশী।
ঝিনাইদহের ফুল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য সদরের গান্না বাজার, কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা, কোলাবাজার কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ও মহেশপুরের শ্যামকুরের পাইকারি বাজারে নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা ওই ফুল কিনে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। এসব বাজার থেকে বিভিন্ন জাতের ফুল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
ঝিনাইদহ জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামির উদ্দীন জানান- দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, হরতাল অবরোধের কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এ বছর ফুল উৎপাদন, চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন। এবারের ভালোবাসা দিবসে জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে অন্তত ২০-২২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।
কেএফ