
রাজশাহীর তানোর উপজেলার প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমি এখনো বরেন্দ্র বহুমূখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচের আওতায় আসেনি। সেচের জন্য কৃষকরা বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে অসংখ্যবার আবেদন করার পরও গভীর নলকুপ স্থাপনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এদিকে ব্যক্তি মালিকানায় গভীর/অগভীর নলকূপ স্থাপেনর আবেদন করা হলেও বিএমডিএ’র অজুহাতে অনুমোদন দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে যুগ যুগ ধরে ওইসব জমির মালিকরা বৃষ্টি নির্ভর একমাত্র আমনের আবাদ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তানোরের সাতটি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর। উক্ত জমিতে বিএমডিএ’র সেচ সুবিধা থাকায় স্থানীয় কৃষকরা বছরে ৩টি (বোরো, রোপা আমন ও রবি) পর্যন্ত ফসলের আবাদ করছেন। কিন্তু কলমা ও বাঁধাইড় ইউপি এবং মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমি বিএমডিএ’র সেচ সুবিধার বাইরে থাকায় যুগ যুগ ধরে বোরোর আবাদ হচ্ছে না।
কৃষকরা জানান, বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ উক্ত জমিতে সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় জমিগুলো অনাবাদি থাকছে। ওই ফসলি জমির আশপাশে পুকুর, ডোবা কিংবা জলাশয় না থাকায় বৃষ্টি নির্ভর আমন ধানের আবাদ ছাড়া রবি ফসল বিশেষ করে গম, আলু, সরিষা ও ভুট্টাসহ কোন ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব গ্রামের জমি অনাবাদি থাকায় সেখানে এখনো গরু-ছাগল চড়ে।
এ বিষয়ে বিএমডিএ’র তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লুর বারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওইসব গ্রামের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নীচে থাকায় বিএমডিএ’র গভীর নলকুপ স্থাপন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় গভীর নলকুপ স্থাপনের বিষয়টি উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয় বলে জানান তিনি।
সাকি/