

আবেদনে বলা হয়, মনোনয়নপত্র দাখিলের চার দিন আগে ২৭ নভেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল করেন আ স ম ফিরোজ। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন তা অনুমোদন করে। ফলে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (এম) ধারা অনুসারে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন। আদেশে মনোনয়নপত্র দাখিলের অন্তত ৭দিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্যমতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ঋণ খেলাপি ছিলেন।
আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম বলেন, আইন অনুসারে কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। অথচ ফিরোজের ওই ঋণ এ নিয়ে মোট ৮বার পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এই পুনতফসিলে সোনালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা মওকুফ করে। এখনো সেখানে তার ২০ কোটি ৪০লাখ ২৩ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঁচবার পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া আ স ম ফিরোজ কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান সরকারের সময়ে প্রথমবার সংসদে আসেন। তারপর ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হলেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। এরপর পঞ্চম, সপ্তম ও নবম সংসদেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে নিজ এলাকায় এক সংবর্ধনায় ক্রেস্টের বদলে নগদ টাকা চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন দশম সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ। তিনি তখন বলেছিলেন, শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত থাকবো। যদি কারোর উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে আর এই ক্রেস্ট না ক্যাশ চাই, ক্যাশ।