
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিল নিয়ে রোববার অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় হাতাহাতি আর হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বর্ধিত সভায় উপস্থিত নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
মায়ার বক্তৃতাকালে পল্লবী-রূপনগর থানার কাউন্সিলের তারিখ নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ওই থানার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আর পেছন থেকে তাদের স্ব স্ব কর্মীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে সভার সঞ্চালক ও নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ উত্তেজিত কর্মীদের নিবৃত্ত করতে জয় বাংলা স্লোগান দেন।
কিছুক্ষণ পরেই আবারো উত্তেজিত বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সভাস্থল। এবার নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও নগরের আরেক নেতা আবুল কালাম আজাদ জড়িয়ে পড়েন বাক-বিতণ্ডায়। আর তাতে যথারীতি ধর ধর বলে যোগ দিলেন কর্মীরাও। আবারো স্লোগান জয় বাংলা।
এভাবেই মুহুর্মুহু ঝগড়া-বিবাদ আর হাতাহাতির মধ্য দিয়ে দ্রুত শেষ হয় বর্ধিত সভা।
এর আগে বক্তৃতায় অ্যাড. কামরুল ইসলাম পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে ঢাকার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দ্রুত কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন আমাদের গাফিলতির কারণে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সকল থানা ও ওয়ার্ডের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে”।
গ্রুপিং এর কারণে কোনো কোনো এলাকায় একাধিক তারিখ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
এসব এলাকার কাউন্সিল স্থগিত থাকবে বলে জানান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, “ঢাকা যার দখলে থাকবে বাংলাদেশ তার দখলেই থাকবে। তাই ঢাকা দখলে রাখতে আমরা দলের মধ্যে কোনো গ্রুপিং রাখতে চাইনা”।
বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ নগরের থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা।
এসএসআর/এসএম