
এখনই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কোনো চিন্তা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি জানান,যোগ্য জনবল তৈরি হলেই খণিজ সম্পদ উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে চরম অশান্তি বিরাজ করছে। কারণ যোগ্য জনবল না থাকার কারণে তারা কারো না কারো শরণাপন্ন হয়েছে। যার শরণাপন্ন হয়েছে তার কাছে ভালো। কিন্তু এতে অনেকে বেজারও হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত সে দেশগুলোতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে।
মন্ত্রী জানান, বিশ্বের এই অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দক্ষ জনবল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিদেশিদের দিয়ে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করবে না।
শিল্প মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতিতে মন্দা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য বড় ভূমিকা রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে আজকে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। খাদ্য নিরাপত্তা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, চিকিৎসা সেবা উন্নীতসহ অর্থনীতির ছয়টি ক্যাটাগড়িতে বাংলাদেশ প্রথম উল্লেখ করে আমু বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো।
হরতালের প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের দাবি আমরা বিরোধী দল থাকা অবস্থায় ১৭০ দিন হরতাল পালন করেছিলাম। কিন্তু আমরা কারো ঘর-বাড়িতে আগুন দেইনি। গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়াইনি।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মহিবুর রহমান বলেন, তরুণ শিক্ষকদের জন্য বেশি বেশি কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যেম দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিযে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির প্রতি আহ্বান জানান।
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নরুল আমিন বলেন, অর্থনীতির সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে অর্থনীতির পরিস্থিতি আরও ভালো থাকতো বলে তিনি জানান।
সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এটিএম জহুরুল হকের সভাপতিত্ত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মহিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য অধ্যাপক শহীদ আক্তার ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নরুল আমিন।
জিইউ/কেএফ