ঢাবির ফজিলাতুন্নেসা হল ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাবেক সভাপতি নিপা ও মিশৌরি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

জানা গেছে, হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিপা নিয়ম ভেঙে নিয়মিত হলে যাতায়াত করেন। অপর দিকে হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশৌরিকে হলে আসতে দেয়া হচ্ছে না। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন হলের গৃহ শিক্ষিকা সীমা ইসলাম। প্রভোস্ট পক্ষ নেন সাবেক সভাপতির। আর সীমা ইসলাম সাবেক সাধারণ সম্পাদকের। প্রভোস্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় বুধবার রাতেই সীমা ইসলামকে বহিষ্কার করেন হলের প্রভোস্ট।

অপরদিকে হল শাখার বর্তমান সভাপতি খাদিজা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশুরীর পক্ষে এবং সাধারণ সম্পাদক নাবিলা সাবেক সভাপতি নিপার পক্ষে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে খাদিজা অনুসারীরা সীমা ইসলামের বহিষ্কার প্রত্যাহার ও প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এতে সাধারণ সম্পাদক নাবিলার অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন সভাপতি খাদিজার অনুসারীরা। এতে  বর্তমান সভাপতি খাদিজাসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০-১২ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, প্রক্টর আমজাদ আলী, সহকারী প্রক্টর আফতাব আলী শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে যান। তারা যাবার পর সেখানকার পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বৈঠক করছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানাকে ফোন দেয়া হলে তিনি মিটিংএ আছি বলে ফোন রেখে দেন।

এসএসআর