৮১ কারখানা এখনও ইউডি’র বাইরে

গার্মেন্টস কর্মপরিবেশ

গার্মেন্টস কর্মপরিবেশএখনও বিজিএমইএ’র ৮১টি কারখানার শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি সুবিধা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) সেবা বন্ধ রয়েছে। সেবা বাতিলের পর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এই সব কারখানা এখনও ইউডি সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি। তবে বিজিএমইএ বলছে, বিধিমালা মেনেই কারখানাগুলোকে এই সুবিধা পেতে হবে।

তৈরি পোশাকশিল্পে কারখানাগুলোর ছাদের ওপরে ২৫ শতাংশ খালি জায়গা রাখার নিয়ম ছিল। তবে কারখানা মালিকরা এই বিধিমালা না মেনে ছাদের ওপরের খোলা জায়গা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে।

তবে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে দেশে বিদেশে চলে নানা সমালোচনা। এ সময় কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাঝে উদ্বিগ্নতা বেড়ে যায়। পশ্চিমাদের সমালোচনার মুখে বিপাকে পড়েন দেশি-বিদেশি ক্রেতা ও মালিকরা।

তাই অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তায় কম্প্লায়েন্স ইস্যূতে টনক নড়ে সংস্থাটির। ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই বিজিএমইএ তাদের নিজস্ব প্রকৌশলী ও অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক কর্মকর্তাদের দিয়ে সদস্য প্রতিষ্ঠানের কারখানা ভবন পরিদর্শন শুরু করে।

তাতে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের প্রায় সহস্রাধিক পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে তারা। এ সময় কারখানা ভবনের ছাদে ২৫ শতাংশ খালি না রাখার কারণে ১৬০টি কারখানার শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাতিল করে বিজিএমইএ।

তখন সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছিলো শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই ব্যবস্থার নেওয়া হয়েছে। তবে এখন বিজিএমইএ বলছে, ২৫ শতাংশ জায়গা খালি না রাখা কারখানার সংখ্যা ১৬০টি ছিলো না।

প্রাথমিকভাবে ১৬০টি কারখানাকে সনাক্ত করা হয়। এমন কারখানার চুড়ান্ত সংখ্যা ছিলো ৬০০টিরও ওপরে। তবে সংগঠনটির দাবি কারখানা মালিকরা ইতোমধ্যে এই শর্ত মেনে ২৫ শতাংশ জায়গা খালি করেছে।

এই বিষয়ে সংগঠনটির সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম অর্থসূচককে জানান, এখনও পর্যন্ত এই সব কারখানার ইউডি বন্ধ আছে। তবে কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, মূলত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য এ ধরণের বাধ্যকতা দেওয়া হয়েছিল।

কোনো কারখানায় আগুন লাগলে যাতে শ্রমিকরা ছাদে আশ্রয় নিতে পারেন, ধোঁয়ায় আটকে শ্বাসকষ্টে মারা না যাওয়া কিংবা ক্ষতি কম হওয়াকে নিশ্চিত করতে এ শর্ত আরোপ করা হয়। তবে সময় মতো অনেক কারখানাই জায়গা খোলা রাখার এ শর্ত পরিপালন করতে পারিনি।

এ দিকে বিজিএমইএ কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য মালিকদের ওপর এটা একটা চাপ। তবে ২৫ শতাংশ খোলা জায়গা রেখে এসব কারখানা আবার কাজে ফিরতে পারবে।

একটি কারখানার ইউডি বাতিল হলে, বিজিএমইএ ওই কারখানার পোশাক তৈরির কাঁচামাল আমদানিসহ বিশ্ববাজারে প্রবেশের অধিকার পত্র দিবে না। কাঁচামাল আমদানি করা না গেলে সংশ্লিষ্ট কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।