
গণজাগরণ মঞ্চের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘গণজাগরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে দিবসটি উদযাপনে তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয় গণজাগরণ মঞ্চের।
কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সকল বয়স ও পেশার মানুষের প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর।
গণজাগরণ জোয়ারে ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের প্রেক্ষিতে কাদের মোল্লাকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। ২০১৩ সালে বিজয় দিবসের প্রারম্ভে ১২ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয় কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড।
দীর্ঘ এক বছরের লড়াই-সংগ্রামের প্রথম বর্ষপূর্তি বেশ আয়োজনের সাথেই উদযাপন করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারের একটি অংশ স্বাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাঁধা দিতে চাইছেন এমনটি জানিয়েছেন মঞ্চের এক কর্মী।
তবে এ ধরনের কোনো কিছুই ঘটেনি বলে অর্থসূচককে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতা ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ।
গণজাগরণ দিবস উপলক্ষে ৩য় শ্রেণী থকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আর সকল বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ‘শাহবাগ আন্দোলন ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা।
এছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, শপথ পাঠ, জাগরণযাত্রা, জাগরন পোট্রেট প্রদর্শনী, উন্মুক্ত স্মৃতিচারণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ, জাগরণ পরিবেশনা, জাগরণ সমাবেশসহ নানা বর্ণিল আয়োজন।
এসএসআর