

অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হচ্ছে এ আজ থেকে। শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থ মেলা উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার-২০১৩” বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন।
মেলা উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বায়ান্নর ২১ শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য ঢাকার রাজপথে দেশের তরুণ সমাজ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বাঙালি যে ন্যায্য সংগ্রামের জন্ম দিয়েছিল তার বার্তা আজ সারাবিশ্বে পৌঁছে গেছে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির হয়েও এখন বৈশ্বিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলা মায়ের জন্য জীবন দানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা ; একই সঙ্গে মাতৃভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের অঙ্গীকার।
প্রধামন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের জাতীয় মননশীলতা ও সৃজনশীলতার বৃহত্তর সাংস্কৃতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রসরমানতা নিশ্চিত হচ্ছে।শুধু গ্রন্থকে উপলক্ষ্য করে মাসব্যাপী এমন মেলার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। এটি আমাদের জন্য পরম আনন্দের, অত্যন্ত গৌরবের।
জানা যায়, এবারের মেলা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। গ্রন্থমেলায় মোট ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৩২টি মূল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪৩২টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমীর ভিতরে ২৪টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৩টি ইউনিট, সরকারি প্রতিষ্ঠান-মিডিয়া ও অন্যান্য ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। তাছাড়া এবারের মেলায় উন্মুক্তসহ ৫৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে ‘লিটল ম্যাগাজিন’ কর্নারে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। আর এই কর্নারটি এবার কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেনের নামে নাম করণ করা হয়েছে।
এবারের মেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়।তবে ছুটির দিনে এই মেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।