
দেশের তৈরি পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতায় খাতটিতে কমেছে রপ্তানি আয়। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ কারখানায় আগুন, ভবন ধস, মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে গত কয়েক মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়। যথাসময়ে শিপমেন্ট করতে না পারায় অনেক ক্রেতা কোম্পানিই বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে্।তারা যাচ্ছে ভারত, ভিয়েতমান, কম্বোডিয়া বাজারে।
এই অবস্থায় খাতটির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি ক্রেতাদের সাথে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামি মাসের তিন তারিখে রাজধানীর যে কোনো একটি হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বিপরিতে অপর পক্ষে থাকছে বিভিন্ন ক্রেতা কোম্পানি, আন্তর্জাতিক শ্রমসংঘ, মার্কিন ক্রেতারা অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ও ইউরোপিয় ক্রেতাদের আরেকটি অ্যাকোর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ নামের দুটি জোট ।
রানা প্লাজা এবং তাজরিন ফ্যাশনে বড় ধরনের দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে আস্থা সংকটে ভুগতে থাকেন ক্রেতারা। পরবর্তীতে দেশজুড়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতার কারণে এই সংকট আরো ঘনীভুত হয় এবং তৈরি পোশাকের জন্য ধীরে ধীরে অন্য দেশের প্রতি ঝুঁকে পড়েন তারা।
এই অবস্থায় উপায়ন্তর না দেখে সরকারের শরণাপন্ন হন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং বিনিয়োগকারীরা। গত ২১ শে জানুয়ারি সরকারে সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অনুরোধা জানান তারা।
এবিষয়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক সংস্থার(বিজিএমইএ) সহসভাপতি প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বিভিন্ন কারণে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এই দুরাবস্থা মোকাবেলা এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বৈঠেকের আয়োজন করতে আমরা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।
তার প্রেক্ষিতেই সরকার আগামি ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় ক্রেতাদের সাথে বৈঠকে বসছে।
আজীম জানান, দেশের পোশাক খাতে একটা সুস্থির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মধ্যে দিয়ে ক্রেতারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কী কী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।