
হঠাৎ করেই কমে গেছে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। এর মধ্য ঋণ ও অনুদান-উভয়ই রয়েছে। এ কারণে আগামিতে বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ছাড়ের পরিমাণও কমে যেতে পারে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে যে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছিল তার প্রভাবে সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমেছে। দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। কারণ রাজনৈতিক স্থিতি না এলে নিজস্ব অর্থায়ন বা বিদেশী সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প-কোনোটিরই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। একই কারণে গত ছয় মাসে বিদেশী সহায়তার অর্থ ছাড়েও ছিল এক ধরনের স্থবিরতা। এ সময়ে অর্থ ছাড় একটু বাড়লেও তা ছিল এক শতাংশেরও কম।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত সময়ে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো ১৫৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২১০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিশ্রুতি কমেছে ৫৫ কোটি ডলারের।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বৈদেশিক সহায়তার ১৩০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে তার পরিমাণ ছিল ১৩০ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, আলোচিত সময়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে ১০৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।একই সময়ে সরকার ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ৫০ কোটি ৫৭ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এর মধ্য আসল ৪১ কোটি ১৫ লাখ ডলার, আর সুদ নয় কোটি ৪১ লাখ ডলার। এতে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ১২ ডলার।