
নতুন ঘোষিত মজুরি বোর্ডের বেতন কাঠামোতে অনেক পদের উল্লেখ না থাকায় তৈরি পোশাকশিল্প ওই মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতায় পড়েছে। তবে ওই সব জটিলতা কাটাতে বাদ পড়া পদগুলো অন্তর্ভুক্ত না করে একটি বাক্য সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘গেজেটে উল্লিখিত পদের অতিরিক্ত কোনো পদ যদি সংশ্লিষ্ট শিল্পে সংযোজিত হয় উহা যথাযথ গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে’ এ বাক্যটি যুক্ত করলেই সমস্যার সমাধান হবে। নতুন করে পদ অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন নেই। মজুরি বোর্ড জানিয়েছে এই সুপারিশটি চূড়ান্ত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে তারা।
বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়েঅনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান মো. শহীদুল্লাহ বকাউল।
এ বিষয়ে মালিক পক্ষ থেকে বলা হয়, কারখানাভেদে পদ ভিন্ন হয়। তা ছাড়া প্রতিনিয়তই নতুন পদ সৃষ্টি হয়। ফলে সব পদ তো আর গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পদগুলো কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সংশ্লিষ্ট গ্রেডে নিয়ে নেবেন। এটি নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা ঝামেলা সৃষ্টির সুযোগ নেই।
শ্রমিকপক্ষ থেকেও বিষয়টি মেনে নেওয়া হয়। শ্রমিকপক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ওই বাক্যটিসহ একটি অনুচ্ছেদ মজুরি বোর্ডের সুপারিশে ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশের সময় কোনো কারণে তা বাদ পড়ে। এ জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। এখন যুক্ত করলেই হয়।’
তবে মজুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শ্রম মন্ত্রণালয়। বোর্ড এটি কেবল সুপারিশ হিসেবে এমন্ত্রণালয়কে পাঠাব।
জানা যায়, মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ৩ থেকে ৬ নম্বর গ্রেডে শ্রমিকের পদ প্রস্তাব করেছিলেন ১০৬টি। কিন্তু চূড়ান্ত কাঠামোয় তা না বাড়িয়ে ২০১০ সালের ৫৬ থেকে কমিয়ে ৫৪টি করা হয়। এ জন্য কাঙ্ক্ষিত গ্রেডের মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। এমন তথ্য পেয়ে পদের অস্বচ্ছতা দূর করতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মজুরি বোর্ডকে চিঠি পাঠায় শ্রম মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি হয়েছে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। ৫ ডিসেম্বর নতুন মজুরি কাঠামোর গেজেট প্রকাশিত হয়। ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার চলতি জানুয়ারি মাস থেকে পোশাক শ্রমিকেরা নতুন কাঠামোতে মজুরি পাওয়ার কথা।