
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ৬ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি)পাবে। দেশটির আটটি অঞ্চলে প্রবাসীদের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। ওই আবেদন ঢাকায় এনে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। এরপর সেগুলো আবার মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রবাসীরা সহজেই তাদের এমআরপি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
সোমবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৬ লাখ এমআরপি তৈরির জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।এটি ছিল আওয়ামী লীগের সরকারের বর্তমান মেয়াদে ক্রয় কমিটির প্রথম বৈঠক। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুরুল করিম সাংবাদিকদেরকে ৬ লাখ এমআরপি তৈরিসহ অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য জানান।
তথ্য অনুসারে ডাটা এজ আই পিপল কনসোর্টিয়াম নামের প্রতিষ্ঠান এসব পাসপোর্ট তৈরি করবে। প্রতি পাসপোর্টে খরচ পড়বে ১৮ ডলার করে।পাসপোর্ট তৈরির পর তা সব আবেদনকারীর হাতে পৌঁছে দিতে ১৮ মাস সময় লাগবে।
উল্লেখ, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইএসএও ) বিধি অনুযায়ী ২০১৫ সালের মার্চের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে চলাচল করা যাবে না।
সোমবারের বৈঠকে অনুমোদন করা অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি জাহাজ কেনা। দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দরের জন্য দুটি করে জাহাজ কেনা হবে মূলত বিআইডব্লিউটিসির জন্য।প্রতি জাহাজের দাম পড়বে ৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা করে।
জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ডিজাইন ও নির্মাণ কাজ তদারকির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে বৈঠকে। ‘সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) সংযোগ-সড়ক প্রকল্পের আওতায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন হবে। ১০৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের এ কাজ পেয়েছে কোরিয়া,ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রতিষ্ঠান কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে সাধারণ কার্গো বার্থে (জিসিবি)মালামাল হ্যান্ডেলিংয়ে পাঁচ ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। তিন বছরের জন্য এ অপারেটর নিয়োগে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছে ফজলীসন্স লিমিটেড, বশির লিমিটেড,এ এন্ড জে ট্রেডার্স,এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ এবং এম এইচ চৌধুরী লিমিটেড।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি বিদ্যুতের ট্রান্সফারমার কেনার কাজ পেয়েছে টিএস ট্রান্সফরমার লিমিটেড।বৈঠকে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ফিনিক্স কমোডিটিস লিমিটেড এ গম সরবরাহ করবে। প্রতি টন ৩০৫ দশমিক ৬০ ডলার হিসেবে গম আমদানিতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।