
সদ্য সমাপ্ত ২০১৩ সালে জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি হয়েছে। কয়েক দশক ধরে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পর জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি বাড়াতে গিয়েই এ ঘাটতির মুখোমুখি হয় দেশটি। খবর বিবিসির।
জাপানের অর্থমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতবছরে (২০১৩ সাল ) দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার (ইয়েন মুদ্রায় ৬৮ বিলিয়ন)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের তুলনায় ইয়েনের মুল্যমান ২০ শতাংশ কমে যায়। নিজেদের ব্যবসায় এর নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে অধিকাংশ জাপানি কোম্পানি তাদের উৎপাদন দেশের বাইরে নিয়ে যেতে শুরু করে। এ কারণেও দেশটির রপ্তানি আয় কমে যায়। সেই সাথে খাবারসহ জ্বালানি খাতে বুদ্ধি পায় আমদানি। এর ফলেই দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেখা দেয় এই বাণিজ্য ঘাটতি।
২০১১ সালের মার্চে উত্তর পূর্ব জাপানে সুনামি আঘাত হানলে কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে যায়। এর পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির ৫৩ টি পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে বাধ্য হয় দেশটি।
অর্থমন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি বেড়েছে ০ দশমিক ২ শতাংশ ।
আর সে কারণেই জাপানের এ ঘাটতির জন্য জ্বালানির উচ্চমূল্যকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এখন জাপানের রপ্তানি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বিশেষ করে যানবাহন ও নির্মাণ যন্ত্রপাতি খাতে রপ্তানি বাড়ছে। আর এই নকল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি দেশটির আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য এনে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে বলে আশা তাদের।
উল্লেখ্য, গত বছরের কয়েক মাস জাপানের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল; তার পরও আগের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের তুলনায় তা খুবই কম। ২০১০ অর্থবছরে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি ইয়েন। ২০০৭ সালে এ পরিমাণ ছিল প্রায় দ্বিগুণ।
এস রহমান