জাতীয় যুবসংহতির আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ

Jhenidah Japa

Jhenidah Japaজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও বেগম রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেত্রী হওয়ায় ঝিনাইদহে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

দুপুর ১২টার দিকে শহরের এইচএসএস সড়ক থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি পায়রা চত্ত্বরসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টারে সমাবেশ করে তারা।

জাতীয় যুব সংহতির সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবীর, তৌহিদুজ্জামান বাচ্চু, যুব সংহতির নেতা কবীর হোসেন, রাজু আহমেদ পল্টন, সেলিম মোল্লা, শাহাদত হোসেন, ইকবাল হোসেন, লতাফত হোসেন, কাজল হোসেন, রাকিব হোসেন মুন্না, আজিজুর রহমান অটো, নূর ইসলাম মালিথা, এসএম আলী, টোকন উদ্দীন, সুলতান আহমেদ  সোহাগ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শামীম আজাদ সোনা ও মিজানুর রহমান মিজানকে দালাল আখ্যা দিয়ে ঝিনাইদহে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এই দুই নেতার কারণে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে প্রকাশ্যে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক জনসভায় ড. এম হারুন অর রশীদকে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর পর থেকে চার মাস পার হলেও আজও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। বক্তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টি, যুব সংহতি সহ অঙ্গ সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানান। এছাড়া ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন ও দলকে শক্তিশালী করার জন্য জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাজমাদারকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আহবান জানান।

সাকি/