ওটিসির ২৪ কোম্পানিকে মূলবাজারে ফেরাতে চায় সিএসই

OTC_Symbleওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি)মার্কেটের ২৪ কোম্পানিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)কর্তৃপক্ষ।ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।বিএসইসির অনুমতি পেলেই এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই কারণে আগামিতে আর কোনো কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠাতে আগ্রহী নয় সিএসই। বরং মূল বাজারে এ ধরণের মন্দ কোম্পানির জন্য নতুন ক্যাটাগরি চালুর পরিকল্পনা করছে তারা।

বর্তমানে ওটিসি মার্কেটে ৫৪ টি কোম্পানি রয়েছে। এদের মধ্য থেকে উৎপাদনে থাকা ২৪ কোম্পানিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস লিমিটেড,মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড,ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড,নিলয় সিমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ লিমিটেড, লেক্সো লিমিটেড,আলফা টোবাকো ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড,মিতা টেক্সটাইল লিমিটেড,আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,পারফিউম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,বেঙ্গল বিসকিটস লিমিটেড, গচিয়াহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্ম লিমিটেড,রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড,গাল্ফ ফুডস লিমিটেড, এক্সেলসর সুজ লিমিটেড, বিডি মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, ম্যাক এন্টারপ্রাইস লিমিটেড, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড,সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড,জাগো করপোরেশন লিমিটেড এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইজ লিমিটেড।

নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা,উৎপাদন বন্ধ থাকা,স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি ফি পরিশোধ না করাসহ নানা কারণে আলোচিত ৫৪ কোম্পানিকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়।কিন্তু জটিল লেনদেন প্রক্রিয়ার কারণে ওই বাজারে শেয়ারের কেনাবেচা হয় না বললেই চলে।

আলোচিত কোম্পানিগুলো মধ্যে যে ২৪ টি নিয়মিত এজিএম করছে,বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে আর্থিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়ে আসছে সেগুলোকে মূল বাজারে ফিরয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে।

জানা যায়,ওটিসি মার্কেটকে আধুনিকায়ন করতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সিএসই বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে কাছে।ওই সময় ওটিসি মার্কেট উন্নয়নে বিএসইসি একটি কমিটি গঠনকরে।কমিটির প্রধান করা হয় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে।

প্রস্তাবে বলা হয়,বাজারে কোম্পানির তালিকাচ্যুতি (ডিলিস্ট) বলে কিছু থাকবে না।কোনো কোম্পানি আইন ভাঙ্গলে বা আইন পরিপালনে ব্যর্থ হলে ওই কোম্পানির জন্য  নতুন একটি ক্যাটাগরি গঠন করে শাস্তি হিসেবে তাদেরকে ওই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হবে।এতে মূল বাজারেই ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হবে।এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে ওটিসি মার্কেট গঠনের প্রস্তাব করা হয়।

সিএসইর প্রস্তাবে বলা হয়,অনেক ভালো ভালো কোম্পানি মনে করে তাদের মূল বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার দরকার নেই।এসব কোম্পানিগুলো ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে পারবে।একই সাথে অনেক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায়।কিন্ত তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য এই সব কোম্পানিগুলোকে পর পর তিন বছর মুনাফা অর্জন করতে হয়।কোন কোম্পানি মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হলে তাদেরকে ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত করা হবে।এছাড়া স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) খাতের কম মূলধনী ভালো কোম্পানিও এই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এই প্রক্রিয়াটি আর সামনের দিকে অগ্রসর হয়নি। ডিমিউচুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে,এখন বিএসইসি খুব দ্রত এই প্রক্রিয়াটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আ্শা করা যায়।

তিনি বলেন,“বর্তমানে ওটিসি মার্কেটের বেশ কিছু কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনেকটা লাভজনক হওয়ায় এদেরকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাব করেছি বিএসইসির কাছে।”