
শুক্রবারের পরিবর্তে রোববারে সরকারি ছুটি কার্যকর করার ব্যবসায়ীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) পক্ষ থেকে রোববার সরকারি ছুটির দাবি করলে তা প্রত্যাখ্যান করেন মন্ত্রী।
আজ বুধবার সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এমসিসিআই নেতারা মন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব করেন। সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া আফজালের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বিশ্বে বেশির ভাগ দেশে রোববার সরকারি ছুটি উল্লেখ করে এমসিসিআই নেতারা এ প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন এমন করা হলে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করা সহজ হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে দেশ।
তবে মুহিত বলেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই মুসলিম তাই এই দেশে শুক্রবারই সরকারি ছুটি রাখতে হবে। সরকার মুসলিম জনগণের মনে আঘাত দিয়ে কোনো কাজ করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এমসিসিআই নেতা রোকেয়া আফজাল শুক্রবারের পরিবর্তে এই ছুটি বদলের পক্ষে কিছু যুক্তিও তুলে ধরেন।তিনি বলেন, রোববার ছুটি দেওয়া হলে শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের জন্য আড়াই ঘণ্টার ছুটি দেওয়া হবে।
কিন্তু এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর আগেও সরকার বেশ কয়েকবার ছুটির সময় বদলের চেষ্টা করেছে তবে এ দেশের মানুষের শক্ত ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ, ১৯৮০ সালে সামরিক শাসক এরশাদ শুক্রবারে সরকারি ছুটির প্রচলন করেন।
মেট্রো চেম্বারের সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমানসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চেম্বারের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হলেও জবাব দেওয়ার সময় সবগুলোর প্রসঙ্গ তোলেন নি অর্থমন্ত্রী।
রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ শুধু সরকারি ছুটির দিনে করার অনুমতি দেওয়ারও প্রস্তাব করে এমসিসিআই। সংগঠনের নেতারা বলেন, জনজীবনের নিরাপত্তা বজায় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে শোভাযাত্রা, সভা ও সমাবেশ করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুসরণের পাশাপাশি মানুষের সমাগম হওয়া জায়গায় (পাবলিক প্লেস) সভা করার ক্ষেত্রে পূর্বশর্তগুলো মেনে চলা জরুরী। এর জন্য প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন তারা।
অর্থমন্ত্রী রাজনৈতিক সমাবেশ ছুটির দিনে করার পক্ষে বলে জানান।
এমসিসিআই ভারসাম্যপূর্ণ মুদ্রানীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে বলেছে, হরতাল-অবরোধ ও সহিংসতায় অর্থনীতি চাপে থাকায় এখন এ ধরনের মুদ্রা নীতি জরুরী। উৎপাদনশীল খাতে স্বল্পসুদে ঋণ ও চলতি মূলধন সরবরাহেরও পরামর্শ দিয়েছে তারা। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ কমানোর তাগিদ দিয়েছেন এমসিসিআই নেতারা।