চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, সবজির বাজার স্থিতিশীল

riceরাজধানীর খুচরা পাইকারি ও বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্য চাল-ডালের দাম কমছেনা। প্রায় সবধরণের চালেই মণপ্রতি বিশ ত্রিশ টাকা বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। সে হিসেবে সকল চালই কেজি প্রতি পঞ্চাশ পয়সা থেকে এক টাকা বেড়েছে।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

শান্তিনগর বাজারের খুচরা চালের দোকান মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল মাবুদ জানালেন, আটাসের পুরান চাল যেটা মিনিকেট বলে বিক্রি করা হয় সেটা মণ প্রতি ৩০ টাকা বেশি দিযে আজ পাইকারি বাজার থেকে কিনেছেন। এ কারণে তাকেও কেজি প্রতি একটাকা বাড়তি বিক্রি করতে হচ্ছে।

খুচরা দোকান থেকে চাল-ডাল কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল সাহেব জানালেন, গত কয়েক মাস যাবৎ চাল ডালের দাম কমছে না। কারণ জানতে চাইলে আগে ওরা বলত সরবরাহ বন্ধ থাকায় দাম কমছে না।

দাম কমছে না কেন এমন প্রশ্ন করা হলে আসিফ রাইচ এন্ড জেনারেল স্টোর এর মালিক কামাল হাসান বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এর জন্য দায়ী। যেমন মজুদদাররা, তারা দাম বাড়তি রাখলে বাধ্য হয়ে আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়।

বর্তমানে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে সবজি সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সবজির বাজারে । তবে দাম কমেনি মাছের বাজারে।

আজকের বাজার চিত্রঃ

কাঁচাবাজারঃ

কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শসা  ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ১০ টাকা কমে  ৪০ টাকা,  শিম ২০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, পুরাতন আলু ১৫ টাকা, নতুন আলু ১২ টাকা, গাজর ১০ টাকা কমে ২০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পটল ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫ টাকা ২০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ৩০ টাকা, দেশি টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২৫ টাকা, ওলকপি ৫ টাকা কমে ১৫ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, ক্যাপসিক্যাম ২৫০ টাকা ও মটরশটি ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতিটি ফুলকপি ২০ টাকা, ব্রকলি (সবুজ ফুলকপি) ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লাল বাঁধাকপি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও লাউ ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ২৫ টাকা ও লেবু ২০ থেকে টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, বাজারে লালশাক, লাউশাক, পালংশাক, মুলাশাক, কুমড়াশাক, ডাটাশাকসহ নানা ধরণের শাকের আটি ১০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং লেটুস পাতা প্রতিটি ২০ টাকা, চায়নাশাক ২০ টাকা, পুদিনাপাতা ১০০ গ্রাম ২৫ টাকা, ধনেপাতা প্রতি ১০০ গ্রাম ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদিঃ

মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, চায়না বড় রসুন ৭০ টাকা, দেশি রসুন ৯০ টাকা, একদানা রসুন ১০০ টাকা, চায়না আদা ১৪০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ান আদা ১২০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৮০ টাকা, হলুদ ১২০ টাকা, হলুদের গুঁড়া ১৮০ টাকা, মরিচের গুঁড়া ২২০ টাকা, ধনিয়া ৮৫ টাকা, আটা (প্যাকেট) ৩৮ টাকা, ময়দা (প্যাকেটট) ৪৮ টাকা, দারুচিনি ৩০০ টাকা, এলাচি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, জিরা ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, বেশন ৯০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মশুর ডাল ৮০ টাকা, খেসারি ডাল ৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪২ টাকা, মাসকলাই ১২০ টাকা, বুট ৫০ টাকা, খোলা চিনি ৪৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা ১১৫ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১২৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

চালঃ

আজ চালের বাজারে প্রতিকেজি নাজিরশাইল ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৪৮-৪৯ থেকে ৫০ টাকা, লতা আটাশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, মোটা চাল ৪২ টাকা, জিরা নাজির ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, চিনি গুড়া ১১০ টাকা, পারিজা ৩৮ টাকা, বিআর-২৮ ৪৩ টাকা, বিআর-২৯ ৪৩ টাকা, হাসকি ৪২ টাকা, স্বর্ণা ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমঃ

আজকে বাজারে প্রতি হালি লেয়ার মুরগির লাল ও সাদা ডিম ২৮ টাকা, হাঁসের ডিম ২ টাকা কমে ৩৮ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৪৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছঃ

দেশি আইর মাছ ৩০০ টাকা, বাইম ৪০০ টাকা, ফলুই ৩৫০ টাকা, গুলশা ৩৫০ টাকা, কাইবা ২৫০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, কাজুলি ৩০০ টাকা, পুটি ৩০০ টাকা বেলে ৩৫০ টাকা, মেনি ৪০০ টাকা, দেশি কই ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, গজাল ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, ভেদা ৩০০ টাকা, মলাঢেলা ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৫০ টাকা, সুরমা মাছ ১৬০ টাকা শোল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।

তাছাড়া, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের বেশি প্রতিহালি ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা। জাটকা ইলিশ ৩০০ টাকা, চন্দনা ইলিশ ১৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চায়না পুটি ১২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুঁটকি মাছঃ

শুঁটকি মাছ প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি শুঁটকি মানভেদে ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, টাকি ৬০ টাকা, কাচকি ৬০ টাকা, লইট্যা শুটকি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাইম মাছের শুঁটকি ৮০ টাকা, চাপিলা শুটকি ৬০ টাকা, পুঁটি মাছের শুঁটকি ৬০ টাকা, নলা মাছের শুঁটকি ৬০ টাকা, চান্দা মাছের শুঁটকি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি ইলিশ মাছের শুঁটকি ৭০০ টাকা ও কাইলা শুঁটকি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসঃ

মাংসের বাজারে গরুর মাংস ২৮০ টাকা, খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের প্রতিটি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ থেকে ৩৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৩৫ টাকা, হাঁস ৩০০ টাকা, ভেড়া ও ছাগীর মাংস ৪৫০ টাকা এবং কবুতরের বাচ্চা ২৫০ টাকা জোড়া হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

ফলঃ

আজ ফলের বাজারে আপেল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, মালটা ১৫০ টাকা, আঙুর ৪৫০ টাকাও প্রতি ডজন কমলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেদানা ২৫০ টাকা, পেয়ারা ১৫০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আমলকি ১৫০ টাকা, ছবেদা ৮০ টাকা ও জলপাই ৪০ টাকা, কুল বড়ুই ১২০ টাকা, আপেল বড়ুই ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে

এছাড়া, প্রতিহালি সাগর কলা ২৫ টাকা, নেপালি কলা ১৫ টাকা, শবরী কলা ২৫ টাকা, চাপা কলা ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি জাম্বুরা ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, বেল ৮০ থেকে ১৫০ টাকা এবং  আনারস প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।