সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধায় যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে মিথ্যা দাবি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে দলীয় সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপি’র সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার মন্তব্য করে আশরাফ, তিনি দেশে জঙ্গিবাদের প্রধান মদদ দাতা। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সশস্ত্রবাহিনী নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে”। প্রতিবেশী দেশের প্রতি উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সশস্ত্রবাহিনীকে হেয় করা থেকে বিরত থাকতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম খালেদা জিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। অথচ তিনি জনগণকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।”
আশরাফ দাবি করেন ১৮ দলের সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ কোনো নেতা না থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা উপস্থিত ছিলো।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন এই সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। আবার খালেদা জিয়া বলছেন আলোচনা করতেই হবে। তারা সব সময় মানুষকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রাখতে অভ্যস্ত। বিএনপির লেজ কে, আর মাথা কে—তা এখন কেউ জানে না। এক দলে দুই হাইকমান্ড”।
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানানোর প্রসঙ্গ টেনে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, শেখ হাসিনার টেলিফোনে খালেদা জিয়া ইতিবাচক সাড়া দেবেন। আলোচনার পথ সুগম করবেন। অথচ আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করেননি। সত্যিকার অর্থেই তারা আর কোনো আলোর মুখ দেখছেন না।
আলোচনার বিপরীতে খালেদা জিয়া আল্টিমেটাম দিয়েছেন এমন অভিযোগও করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ খালেদা জিয়া অনর্গল মিথ্যা বলতে পারেন। যতই মিথ্যা বলে সত্যকে আড়াল করতে চান না কেন, তা আর সম্ভব হবে না”।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, “খালেদা জিয়া বলেছেন, তার আমলে কোনো সন্ত্রাস ছিল না। অথচ দেশবাসী জানে তার আমলে একসঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা ফুটেছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়াসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাংলা ভাই-শায়খ রহমানদের উৎপত্তি হয়েছে।”
বিএনপির উদ্দেশে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে তারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনসকি গরু, ছাগল ও মুরগি পুড়িয়েছে, গাছ ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ‘গাছ, মাছ, গরু ও ছাগল কী দোষ করল? তারা কি ভোটার ছিল যে তাদের পোড়ালেন। কেন তাদের পোড়লেন?”
ইনকিলাব পত্রিকার মত খালেদা জিয়াকেও নিজ ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান সৈয়দ আশরাফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এসএসআর