
দেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে সেটিই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। এ সময় তিনি বলেন, যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করবে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে এ ধরনের কাজ আর কোনো দিন করার সাহস না পায়।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমরান বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার কোনোটিরই সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয় নি।
তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন কোনো সুনির্দিষ্ট মানুষের জন্য নয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের সকল মানুষের আন্দোলন। গত ১১ মাসে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা ২২জন সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। প্রয়োজনে আরও ২২লাখ মানুষ জীবন দিব তবুও বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধমুক্ত করে ছাড়ব।
জনসভায় দিনাজপুর গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চ জেলা শাখার সমন্বয়ক রেজাউর রহমান রেজু, শ্লোগান কন্যা লাকি আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেলা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু।
এর আগে ডা. এমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের গাড়িবহর ঢাকা থেকে বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, দশমাইল হয়ে রাত সোয়া ৮টায় দিনাজপুরে এসে পৌঁছায়। দিনাজপুরে রাত্রিযাপন করে রোববার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে গড়েয়ার গোপালপুরে সংখ্যালঘু এলাকা পরিদর্শন করবে গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।
কেএফ