
গতকাল ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেলেও একদিন পরেই মেলার মাঠে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিক্রেতারা পার করছেন অলস সময়। হুট করে নেমে আসা তীব্র শীতের কারণেই মূলত মেলায় কমে গেছে লোকসমাগম এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ছুটির দিনে দর্শনার্থী এসেছিল দলে দলে। সকাল থেকেই মেলা ছিল প্রাণবন্ত। কিন্তু একদিন পরই শীতের তীব্রতার ছোঁয়া পড়েছে মেলায়।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের তুলনায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। অন্যদিনের তুলনায় শিশুদের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় না থাকায় স্টলে স্টলে অলস সময় কাটাচ্ছে বিক্রয়কর্মীরা। অন্যান্য দিনে সকালের চেয়ে সন্ধ্যায় দর্শনার্থীর ভিড় বেশি দেখা গেলেও আজ ছিল তার উল্টো চিত্র। সকালবেলায় স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও সন্ধ্যা হতেই প্রায় জনশূণ্য হয়ে পড়ে মেলা প্রাঙ্গন।
এছাড়া টিকেট বিক্রির কাউন্টারে ছিল না কোনো লাইন। টিকেট বিক্রেতারা টিকেট হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে মাঠের বাহিরে গাড়ি পার্কিংয়ের কর্মচারীদের মধ্য ছিল পার্কিংয়ের টিকেট দেওয়ার এক ধরনের তীব্র প্রতিযোগীতা। কালেভদ্রে দুই-একটা মোটর সাইকেল বা প্রাইভেট গাড়ি আসলেই অমনি হুঁমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। কার আগে কে টিকেট দিবে এই প্রতিযোগীতায় ছিল তারা ব্যস্ত।
তবে গৃহস্থলী, প্লাস্টিক, ফার্নিচার ও শীতবস্ত্রের স্টলেই কিছু সংখ্যক দর্শনার্থী দেখা গেছে। এদের অধিকাংশই নারী দর্শনার্থী। কসমেটিক্স ও জুয়েলারি দোকানে এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে কারুপণ্যের স্টল শতরঞ্জির ম্যানেজার অর্থসূচককে জানান, হঠাৎ শৈত্য প্রবাহের কারণে ক্রেতা কম আসছে। তাই বেচা-বিক্রি কম। তবে শীত কেটে গেলে ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তানিন ফার্নিচরের ম্যানেজার রবিউল হাসান হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আজ তো শীত তাই বিক্রি কম। কিন্ত শীত ছাড়াও বিক্রি নাই বলা চলে। যে টাকা বিনিয়োগ করে স্টল করা হয়েছে তা উঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে মেলার সদস্য সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ অর্থসূচককে বলেন, শীত পড়ার কারণে মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে কিছুটা কম বের হচ্ছে। তবে আশা করি এ প্রভাব থাকবে না। অচিরেই মেলা জমজমাট হয়ে উঠবে।
জেইউ/