
চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৩ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ২ শতাংশে উঠে আসবে। এই হার ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৫ শতাংশে গিয়ে স্থির হবে। আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাসের (জিইপি) প্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে বিশ্বব্যাংক এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর –দ্যা ইকোনমিক টাইমসের।
জিইপির রিপোর্টের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকটের পর চলতি বছরটা বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। এ বছর বিগত বছরগুলোর তুলনায় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম জানিয়েছেন, উন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও শক্তিশালী হবে। উন্নত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়বে। এতে উন্নশীল দেশগুলো আগামি দিনগুলোতে আরও শক্তি খুঁজে পাবে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার ২০১৩ সালের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে চলতি বছরে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে উঠে আসবে।
এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চিনে চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশে স্থির থাকবে। কিন্তু পরবর্তী দু’বছর এই ধারাটা কিছুটা ঝিমিয়ে আসবে। খুব সম্ভবত্ব হারটা শুন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ বাড়বে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই হার ৭ দশমিক ১ শতাংশে স্থির থাকবে। বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুত্থান ও দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে আগামি দিনগুলোতে দেশটির প্রবৃদ্ধি উর্ধ্বমূখী থাকবে।