
রাষ্ট্র ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “সরকারের এই নির্লিপ্ততা ও উদাসীনতা অমার্জনীয়। গণজাগরন মঞ্চ যেতে পারলে সরকার বা প্রশাসনের লোকজন কেন যেতে পারে না”।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
সুরঞ্জিত বলেন, “নির্বাচনের পরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের শপথ হয়েছে- সবকিছুই স্বাভাবিক হয়েছে কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতন এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাদের অপরাধ তারা ভিন্ন ধর্মের মানুষ। ভোট দিলেও বিপদ, না দিলেও বিপদ”।
তিনি বলেন, এই নৃশংস হামলা প্রতিরোধে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় যাদেরকে ভোট দেয়ার কারনে তারা হামলার শিকার হয়েছেন সেই তারাও আক্রান্তদের পাশে দাড়ান নি।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “অতীতেও এই সাম্প্রদায়িক হামলার কোনো বিচার হয়নি এবং যে আইন রয়েছে তাও যথেষ্ট নয়”।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “পাঁচ মিনিটও লাগেনা এই আইনটা করতে। সন্ত্রাস বিরোধী দ্রুত বিচার আইন করলেন তখন এইটা ঢুকাইয়া দিলেই তো হইতো।
সুরঞ্জিত বলেন, “এই কথা বলার জন্যই আমি মন্ত্রীত্ব পাইনি। মন্ত্রীত্ব আমি চাই না । আমি কথাই বলতে চাই।
বিএনপি’র উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিদেশিদের কাছে আপনি নালিশ দেন-তারা কি আপনারে গণতন্ত্র ফিরাইয়া দিবে? তারা মিশর, ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানে কি ধরনের গণতন্ত্র দিছে দেখেন নাই?”
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সভাপতি রাজিয়া মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।
এসএসআর