
‘লাইফ অলসো ইজ স্টিল ইয়ং’এটাই বোধহয় মূল মন্ত্র সব চিরতরুণদের। যেকোনো সমস্যা হলেও তাই তো যত্ন নিতে হয় সাথে সাথে, হোক না সেটা তুচ্ছ। এই-না যেমন ধরুন আপনার চোখের নিচের কালি পড়েছে, পাতার নিচের অংশটির মেদ ঝুলে পড়েছে। কিন্তু তাই বলে তো আর এ অবস্থায় পড়ে থাকলে চলবে না। করতে হবে একটু যত্ন আত্মি। আর এটা আপনি করতে পারবেন ঘরে বসেই। যাওয়া লাগবে না কোনো বিউটি পার্লারে। তাহলে এবার জেনে নিন- চোখের নিচে কালি কিংবা পাতার মেদ ঝুলা থেকে কিভাবে আপনি রক্ষা পাবেন-
১. লবণ খান কম:
অনেকেই হয়তো মনে করেন যে কাঁচা লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই তারা লবণ শুকনো তাওয়াতে ভেজে খান অথবা কাঁচা লবন খাওয়া এড়ানোর জন্য তরকারিতেই একটি বেশি লবণ দিয়ে দেন। কিন্তু ডাক্তারদের “কাঁচা লবন খাবেন না কথাটির প্রকৃত অর্থ হলো “অতিরিক্ত লবণ খাবেন না, তরকারিতে যতটুকু না দিলেই নয় শুধু অতটুকু লবন ই খাবেন। আর অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে আপনার পানি খাওয়ার চাহিদাকে কমিয়ে দেয়। বেড়ে যায় আপনার চোখের নিচের অংশের মেদ। তাই এই মেদ কমাতে আপনি লবণ খান কম।
২. পানি খান প্রচুর:
খাদ্যেও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমানের সাথে সাথে পানি খান প্রচুর পরিমাণে। এতে করে আপনার দেহের জীবাণু ও অতিরিক্ত লবণ থাকলে তা পানিতে ধুয়ে বের হয়ে যাবে। ফলে চোখের নিচের পাতার স্ফীতিও কমে যাবে।
৩. চোখে রাগের ভাব কমিয়ে আনতে পারেন:
স্বাভাবিকভাবে মানুষ যখন রেগে যায়, তখন চোখের মাধ্যেমেই তার রাগ ছড়িয়ে যায়। অনেক সময় চোখ লাল বর্ণের হয়ে যায়। এর ফলে আপনার চোখের নিচের পা্তার মেদ বাড়তে পারে । তাই সর্বক্ষণ চেষ্টা করতে হবে আপনার চোখের রাগকে প্রশমিত করতে। এ জন্য অনেক সময় বরফ বা ঠাণ্ডা চা-ও ব্যবহার করতে পারেন । দেখবেন উপকার পাবেন।
৪. চোখের নিচে ক্রিম জাতীয় কিছু দিয়ে মেকআপ করতে পারেন:
নিচের পাতার চামড়াকে ঢেকে রাখার জন্য মেকআপ করতে পারেন। এতে করে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ পড়াসহ পাতার মেদ ঝুলে যাওয়া কমিয়ে আনবে। ফলে সারাদিন আপনি থাকতে পারবেন স্নিগ্ধ, ফ্রেশ ও স্মার্ট।
৫. সময় মতো ঘুমান:
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন ঠিকমতো না ঘুমানোর ফলে এমনটি হয়ে থাকে । তাই এখন থেকে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন।দেখবেন আপনার সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
৬. এলার্জিযুক্ত খাবার কম খান:
অনেক সময় এলার্জির কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। তাই যে সব এলার্জিুযুক্ত খাবার খেলে আপনার এ সমস্যাটি বেড়ে যায়। সেগুলো মাত্রাহারে একটু কম খান। সর্বোপরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন কোন ধরনের খাবার আপনি খাবেন।
সুত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস রহমান