
দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহসহ শীতজনিত ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে বোরো বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেল ডিজেল, ইউরিয়া ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিক সংকট ও শ্রমমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
এদিকে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে বীজতলা বাঁচাতে এবং অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়- জমি চাষ, বোরো বীজতলা ও বোনার কাজে এখন ব্যস্ত দিনাজপুরে কৃষক। বীজতলার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ঘনকুয়াশা ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা বিনষ্ট হচ্ছে। কোল্ড ইনজুরি ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে হলদে ফ্যাকাসে ধারণ করছে বোরো বীজতলা। এতে বোরো চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। সেই সঙ্গে পরিবহন জটিলতায় জ্বালানি তেল ডিজেল, ইউরিয়া সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়াও কৃষি শ্রমিক সংকট এবং শ্রমমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদে হিমসিম খাচ্ছেন কৃষকরা। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আমনের ভাল দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরো নিয়েও তারা শঙ্কায় পড়েছেন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল আলম জানিয়েছেন, ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে বীজতলা বাঁচাতে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তবে এমন শীত অব্যাহত থাকলে, চলতি বোরো মৌসুম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাই করছেন কৃষিবিদরা।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মৌচুষা গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান জানান, ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে আমার জমির ইরি-বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমার বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রঘুনাথপুরের কৃষক পায়কাম আলী জানান, একদিকে ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ অন্যদিকে পরিবহন জটিলতায় জ্বালানি তেল ডিজেল, ইউরিয়া সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি এবং কৃষি শ্রমিক সংকট ও শ্রমমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
কেএফ