
শপথ নেওয়ার পরের দিনই দপ্তরে আসতে শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন মন্ত্রীরা। সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১৫ জন মন্ত্রী নিজ নিজ কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। নতুন মন্ত্রীদের বরণ করতে ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নতুন মন্ত্রীদের। এছাড়া সচিবালয় কার্যালয়ে অন্যান্যদিনের চেয়ে সাধারণ মানুষ, সংবাদ কর্মী ও দর্শনার্থীদেরও ভিড় ছিল অনেক বেশি।
এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে শপথ বাক্য পাঠ করেন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা।
সোমবার সকাল ৯টায় নিজ কার্যালয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রথমে তিনি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
নাহিদের পরেই মন্ত্রণালয়ে আসেন প্রথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।বিগত সরকারের আমলে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে যে পরিকল্পনা চলছে এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবো। আশা করি সুনাম বজায় থাকবে”।
সকাল ১০ টায় নিজ নিজ দপ্তরে যোগ দেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আসেন সাড়ে ১০টায়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দফতরে আসেন সকাল ১০টায়। এসময় তাকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “সরকার পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহন করেছে। আশা করি ভালোভাবেই আমরা দায়িত্ব শেষ করব”।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নতুন সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “অতীতের মত সবসময়ই আওয়ামী লীগ আইনের শাসন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবে। যে কোনো মূল্যেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর”।
বেলা ১১টার দিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নিজ দপ্তরে আসেন। পরে তিনি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিমিয় করেন।
সাড়ে ১১টায় আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি শুরুতে নিজ দপ্তরে কিছুটা সময় কাটানোর পরে মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাড়ে ১১টার পরে মন্ত্রণালয়ে আসেন।
আর অসুস্থতার কারণে মন্ত্রণালয়ে আসেননি যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া নতুন সরকারের অবশিষ্ট মন্ত্রীরাও আসবেন নিজ নিজ কার্যালয়ে। তবে শপথ গ্রহনের পরের দিন দপ্তরে আসলেও কাজ শুরু করবেন মূলত মঙ্গলবার থেকে।
আগের সরকারের মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, হাসানুল হক ইনু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান ও মুজিবুল হক আগের মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন।
সর্বদলীয় সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদও আগের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
অন্যদিকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নাসিম, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আ ক ম মোজাম্মেল, মো. ছায়েদুল হক, ইমাজউদ্দিন প্রামানিক, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনিসুল হক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ হ ম মোস্তফা কামাল, আসাদুজ্জামান নূর, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সৈয়দ মহসিন আলী, শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ও মো. কামরুল ইসলাম নতুন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন।
সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেননও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে প্রমোদ মানকিন ও মেহের আফরোজ যথাক্রমে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন।
মো. মুজিবুল হক চুন্নু, ইয়াফেস ওসমান, এম এ মান্নান, মির্জা আজম, বীর বাহাদুর, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বীরেন শিকদার, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসমত আরা সাদেক, মশিউর রহমান রাঙ্গা, শাহরিয়ার আলম, জাহিদ মালেক স্বপন, নসরুল হামিদ বিপু, জুনায়েদ আহমেদ পলক নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এছাড়া উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পানি সম্পদ এবং আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।