

হরতাল ও অবরোধ না থাকায় এবং দেশীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজ এবং আদার দাম। দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সবকটি দোকান ও গোডাউনে ছিল পেঁয়াজের ও আদার পর্যাপ্ত মজুদ। সোমবার সকাল থেকে খাতুনগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ ও আদা ভর্তি ২৫ টি ট্রাক প্রবেশ করায় এসব পণ্যের দাম কমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ।
খাতুনগঞ্জ বাজারের শুধুমাত্র ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া আর কোনো ধরনের পেঁয়াজ দেখা যায়নি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকায় এবং চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৪০ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে।
গেল সপ্তাহে পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, চায়না পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় এবং দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। শেরপুর ও মেহেরপুর জেলায় দেশীয় পেঁয়াজের ফলন ভাল হওয়ায় তার আশপাশের জেলাগুলোতে বিদেশী পেঁয়াজের উপর নির্ভর করতে হয় না। তাই দেশে এখন পেঁয়াজের চাহিদা কম হওয়ায় দামও কমে গেছে।
তবে হরতাল ও অবরোধের অজুহাতে ট্রাক ভাড়া তিন থেকে চারগুন বাড়ানো হলেও তা এখনো স্বাভাবিক হয়নি । এখনো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায়।
খাতুনগঞ্জ বাজারের মেসার্স মোহাম্মদীয়া ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী ও ব্যবসায়ী নেতা মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর অর্থসূচককে বলেন, হরতাল অবরোধ ও ভারত পেঁয়াজ দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিগত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসা ও দেশীয় পেঁয়াজ ডিসেম্বর থেকে বাজারে আসতে শুরু করায় পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
গত সপ্তাহে দেশী, চায়না ও পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় কমে বিক্রি হয়েছে । তবে তা এখন তা মার্কেটে নাই । থাকলে হয়তো পেঁয়াজের দাম আরো কম থাকতো।
উল্লেখ্য, হরতাল ও অবরোধের অজুহাতে গেল মাসের এই সময়ে খাতুনগঞ্জ বাজারে পেয়াঁজ ভারতীয় ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে।