স্বাবলম্বী হতে ফুলচাষ

flower

flowerফুলকে আমরা সবাই ভালোবাসি। ফুল স্রষ্টার এক অন্যন্য সৃষ্টি। ফুল পবিত্র ও সৌন্দর্যের প্রতীক। উপহার হিসেবে প্রিয়জনকে ফুল দেওয়া থেকে শুরু করে বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠানে ফুলের কোনো বিকল্প নেই। তাই দিন দিন ফুলের কদর বেড়েই চলেছে। আর তাই আজকাল ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেকেই। ফুলের গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই তো কবিও বলেছেন,

জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি,

দুটো যদি জোটে তবে অর্ধেকে ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী ।।

অনেকে শখ করে ফুল চাষ করলেও দিন দিন এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুল চাষকে অনেকে পেশা হিসেবেও বেছে নিতে শুরু করেছে।

সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাস হলো শীতকালীন ফুলের জন্য বীজতলায় চারা উৎপাদনের উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশে শীত মৌসুমে অনেক রকম ফুলের চাষ করা হয়। তার মধ্যে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, কসমস, ক্যালেন্ডোলা, সালভিয়া, এস্টার, ডায়েন্থাস, পপি, হোলিহক প্রধান।

ফুল চাষের জন্য উঁচু দোআঁশ মাটি বেশি উপযোগী। জমির পরিমাণ বেশি হলে বিভিন্ন জাতের ফুলের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ভাগ করে পরিকল্পনা মাফিক চারা রোপণ করতে হবে।

যে জমিতে সারাদিন প্রচুর রোদ পড়ে সে ধরণের জমি শীতকালীন ফুলবাগানের জন্য নির্বাচন করতে হবে।

কন্দ, চারা বা কলম রোপণের ২০-২৫ দিন আগে জমি ভালোভাবে কুপিয়ে উপযুক্ত ও পরিমিত সার যেমন পচা গোবর, টিএসপি, হাড়ের গুঁড়া, এমপি, ইউরিয়া, খৈল, চাপাতির উচ্ছিষ্টাংশ ও ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুর করে নিতে হবে। তবে সার প্রয়োগে জৈব সারের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

শীতকালীন মৌসুমী ফুল সংখ্যায় যেমন অধিক তেমনি আকার ও বর্ণে বিচিত্র। এ কারণে শীত মৌসুমে ফুল বাগান বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নার্সারিতে শীতকালীন ফুলের বিভিন্ন জাতের চারা পাওয়া যায়। এই সব নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে ফুল চাষ শুরু করতে পারেন যে কেউ। এই ফুল চাষের মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারেন এবং মুক্ত হতে পারেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে।

কেএফ/এএস