
১৯ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষে এ বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আদায় হতে পারে। বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায়কারী কর্তৃপক্ষ এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শুক্রবার বিকেলে অর্থসূচককে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন মেলায় দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মিয়া।
মেলার শেষ দিন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা অনুয়ায়ী ভ্যাট আদায় হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভ্যাট আদায়ে আমরা গ্রাহকদের নিয়মিত উৎসাহ দিচ্ছি। প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে গিয়ে এ বিষয়ে তাদেরকে তাগাদা দিচ্ছি। তাই আশানুরুপ ভ্যাট আদায় হতে পারে।
মেলার ২৭তম দিন বৃহস্পতিবার শেষে খুচরা বিক্রির ওপর ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭২ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে বলে জানান তিনি।
গতবারের মতো ভ্যাট প্রদানে এখন পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাতিল ফার্নিচার।
তবে আকতার ফার্নিচার, কিয়াম মেটেরিয়াল ও নাভানা ফার্নিচার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট আদায়ে এগিয়ে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকে এখনও ভ্যাট দেয়নি। মেলার শেষ দিনে দেবে। এছাড়া শেষ দিনে বড় প্যাভিলিয়নগুলোর ভ্যাট প্রদানের পরিমাণও বেশি হবে। আর আজ শুক্রবার দিন শেষে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
তবে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এবারের মেলায় এখনও কিছু স্টল খালি রয়ে গেছে। এগুলো চালু থাকলে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়তো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় এবারের মেলা প্রথম পর্যায়ে ভ্যাট আদায় নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন ভ্যাট আদায়কারীরা। তবে মেলার মাঝামাঝি সময় থেকে আদায়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত তা আশানুরূপ হতে পারে বলে জানান ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গতবার বাণিজ্য মেলা শেষে ভ্যাট আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এবারের লক্ষ্যমাত্রা তার থেকে সামান্য বেশি করছেন তারা।
এ ছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারও শীর্ষ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এআর