বস্ত্র খাতে নগদ সহায়তার শর্ত শিথিল

Oven_Knit_Towelরাজনৈতিক অস্থিরতায় বস্ত্রখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নগদ সহায়তার শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ঋণপত্রের পাশাপাশি টেলিফোনে স্থানান্তরিত  (টিটি) রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রেও এ সুযোগ পাওয়া যাবে। অবশ্য কিছু শর্ত পরিপালন সাপেক্ষেই কেবল পাওয়া যাবে এ সুযোগ।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এ নির্দেশনা ৮ জানুয়ারি, বুধবার থেকে কার্যকর।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, অগ্রিম প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের বিপরীতে এ সুযোগ পাওয়া যাবে। রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতের ওভেন,নিটিং ও টেরিটাওয়েলের জন্য প্রচলিত ডকুমেন্টশন কালেকশনের পাশাপাশি নতুন করে এ সুযোগ দেওয়া হলো।

তবে এ ক্ষেত্রে এডি ব্যাংক শাখাকে বিদেশি ক্রেতার যথার্থতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা,মূল্যের সঠিকতা এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকৃত রপ্তানির নিমিত্তে অগ্রিম মূল্য প্রত্যাবাসিত সম্পর্কে টিটি বার্তার ভাষ্য ও অন্যান্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিত হতে হবে। এক্ষেত্রে অগ্রিম মূল্যের প্রাপক প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারকের সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,টিটির মাধ্যমে অগ্রিম রপ্তানি মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিলম্বে মূল্য পরিশোধ ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র স্থাপনের প্রয়োজন হবে না,বিধায় সাইট ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উপকরণাদি সংগ্রহ এবং প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক কর্তৃক প্রাপ্ত অগ্রিম মূল্য দ্বারা উক্ত দায় নিষ্পত্তি করা যাবে। উপকরণাদি সংগ্রহের জন্য স্থাপিত সাইট ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রে নগদ সহায়তার প্রাপক পক্ষের নাম উল্লেখ থাকতে হবে।

প্রজ্ঞাপণে আরও বলা হয়েছে,টিটির মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে (এক্সচেঞ্জ হাউস ব্যতীত)রপ্তানি আদেশে প্রদানকারী বা আমদানিকারক কর্তৃক সম্পন্ন হতে হবে। টিটি বার্তার ভাষ্যে আমদানি সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্র উল্লেখ থাকতে হবে।বস্ত্রখাতে নগদ সহায়তা পরিশোধের বিষয়ে জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,টিটির মাধ্যমে সম্পাদিত অগ্রিম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসন সংখ্যায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। এ খাতে সরকারের নগদ সহায়তা গ্রহণের সুযোগকে অপব্যবহার করতে পারেন। ইতোমধ্যে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী বিদেশি উইন্ডো অফিস খুলে আমদানির অর্ডার দিচ্ছে। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক একই ব্যক্তি হওয়ায় ভুয়া রপ্তানি আদেশ দাখিল করে সরকারের নগদ সহায়তা নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নগদ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতার যথার্থতা ভালভাবে যাচাই করতে হবে।