
১৯ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হতে আর মাত্র ৪ দিন বাকি। জামায়াতের ডাকা হরতালে শেষ সময়ের এই জমজমাট মুহূর্তে মেলা নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছে। এ সময়ের একদিনের হরতালও ব্যবসায় জন্য বড় ক্ষতি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত মাসের ১০ তারিখে মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে জমে উঠে বাণিজ্য মেলা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র। মূলত জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কারণেই বাণিজ্য মেলা অনেকটাই ফাঁকা।
সকাল থেকেই দেখা গেছে, এক রকম অলস সময় কাটাচ্ছেন প্যাভিলিয়ন ও স্টলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও মেলার এই চিত্রের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। মেলার প্রধান গেইটে সব সময় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেলেও আজ তা নেই। টিকেট কাউন্টারগুলোর টিকেট বিক্রেতারাও অন্যদিনের মতো ব্যস্ত নয়।
মেলার আশপাশের কিছু লোক ধীরে ধীরে আসছে। তাদের অধিকাংশই মেলার মাঠে ঘুরাঘুরি করছেন। শপিং ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে এমন লোকের দেখা খুবই কম মেলে।
রাজধানীর শ্যামলী থেকে মেলায় আসা রাব্বি ও সীমা বলেন, বাসা কাছে তো- তাই হেঁটেই মেলায় চলে আসলাম। একটু ঘুরবো। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরবো।
মেলায় হরতালে প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাতিলের কো-অর্ডিনেটর অরুণ মজুমদার অর্থসূচককে বলেন, হরতাল আমাদের বেচা-বিক্রি টার্গেট পূরণে অনেক পিছিয়ে দেবে। যদিও এক দিন হরতাল, কিন্তু এই মুহূর্তে তো মেলা পুরোদমে জমে উঠেছে। শেষ সময়টা হলো বেচা-বিক্রির মৌসুম। শেষ দিকের একদিনের হরতাল বড় ক্ষতি করবে সব ব্যবসায়ীদের। দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এই মুহূর্তে হরতালের মতো যেকোনো ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে মুক্তি চায় মেলার ব্যবসায়ীরা।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগের এক বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা বাণিজ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতেই মেলায় আগমন বলে জানান কয়েকজন ব্যবসায়ীরা।
জেইউ/কেএফ