

গণতন্ত্রের অভিযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বা আশাপাশে দলটির কোনো নেতা-কর্মী নেই। নেই গুলশানে বিএনপি সভাপতি বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে। তারপরও এ কর্মসূচি ঠেকাতে আগের মতোই প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সোমবারও রাজধানীর রাজপথে যানবাহন সংকট । আগের দিনের মত একেবারে শূন্য না হলেও, স্বাভাবিক দিনের অর্ধেকের চেয়েও কম। পথে পথে তাই মানুষের ভোগান্তি। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
আগের দিন দিন বিরোধী দল সোমবার গণতন্ত্রের অভিযাত্রা বা মার্চ ফর ডেমোক্রেসির পাশাপাশি রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে এ কর্মসূচিতেও তেমন অংশগ্রহণ নেই বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের।
আগের দিন সমাবেশের কর্মসূচি ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় নেতা-কর্মীরা অনেকটাই হতোদ্যম বলে জানা গেছে। আর এ কারণে আজ তাদের তৎপরতা রোববারের চেয়েও কম থাকতে পারে। তবে জাতীয় প্রেসক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকায় আজো সংঘাতের আশংকা রয়ে গেছে। কারণ বিএনপিপন্থী সাংবাদিকরা আজ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করেছে। অন্যদিকে ব্যাপক পুলিশী বাধা ও আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের হামলায় আগের দিন সমাবেবশ যোগ দেওয়ার চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় আজ সর্বশক্তি নিয়ে চেষ্টা করতে পারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এ দিকে আজ পুলিশের তৎপরতা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিস ঘিরে। দুটি চৌরাস্তা ছাড়াও আটটি গলি দিয়ে এ অফিসের সামনে আসা যায়। গতকাল রোববার শুধু চৌরাস্তার মুখে ব্যারিকেড ছিল পুলিশের। বাকীগুলোতে এমনিতেই পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু আজকে সবগুলো সড়ক ও গলির মুখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনো কাক-পক্ষীরও বিএনপি অফিসের সামনে আসার সুযোগ নেই। একই অবস্থা বিএনপি সভাপতির গুলশানের বাসভবনের সামনেও।