
ফ্যাসিবাদী ও বাকশালী সরকারের এখন শেষ সময়। তাই সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রসঙ্গে রুহুল আমীন গাজী বলেন, কোন অধিকারে আপনি কাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রেসক্লাবে আছেন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপনি এখন আর প্রেসক্লাবের সদস্য নন। আপনি তো কাল ও আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থাকার কথা। কিন্তু আপনি প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাজে নাক গলাচ্ছেন। এটি করবে না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যপদ পেতে আপনাকে আবারও দরখাস্ত করতে হবে। এতদিন তামাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, আর এখন করছেন প্রেসক্লাবে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাগর-রুনীর হত্যাকাণ্ডের বিচারের আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আপনি শুধু এই আন্দোলনকে পণ্ড করেননি, একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে পণ্ড করেছেন। এরপরপরেই আপনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনি আর কোনও কথা বলবেন না, কারন আপনি একাত্তরে পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকুরীরত ছিলেন, আপনি মুক্তিযুদ্ধ করেন নি। শেষ পর্যন্ত আপনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পান নি।
তিনি বলেন, দেশের সকল বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ করে রেখেছে সরকার। যেখানে সরকার দেশ সচল রাখার কথা, সেখানে তারাই দেশ অচল করে রেখেছে। আমরা গতকাল ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে বলেছিলাম কিন্তু সরকার তা করেনি।
দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট সংশোধন না করা হলে ইত্তেফাকের ব্যপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
যতক্ষণ দাবি আদায় না হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস খান, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
জেইউ/