
রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেপ-তোষকের বিক্রি। আর শীত নিবারণের জন্য লোকজন এখন ঝুঁকে পড়ছেন রাজশাহী মহানগরীর লেপ তোষকের দোকানে। অনেকে আবার পুরাতন লেপ তোষক কারিগরদের নিকট নিয়ে নতুন করে তৈরি করে নিচ্ছেন। পাশাপাশি শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতেও শীত নিবারনে গরম কাপড় কেনাকাটাও পুরোদমে শুরু হয়েছে। এবার শীত প্রবাহ কিছুটা বেশি হওয়ায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছেন লেপ-তোষকের দোকানে।
মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার সজল বেডিং হাউসের লেপ দোকানি সজন খান জানান, শিমুল তুলা প্রতিকেজি ১৫০-২০০ টাকা, কারপাস তুলা প্রতিকেজি ৮০-২০০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা প্রতিকেজি ৩০-৫০ টাকা এবং নারিকেলের ছোবড়া প্রতিকেজি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটা নতুন লেপ তৈরি করতে মজুরিসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এছাড়া অনেকে পুরাতন লেপ-তোষক ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ করে নেয় বলে তিনি জানান। এছাড়া একটি তোষক তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আজিজ জানান, এ মাসের প্রথম সপ্তা থেকে প্রচুর পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন। এ কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখে দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে। তারপর অনেক সময় এর ব্যত্যয় ঘটে বলে তিনি জানান।
কারিগর মুদি মিয়া জানান, এবছর কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা লেপ-তোষকের দাম শুনে প্রথমে থমকে যাচ্ছেন। পরে বাধ্য হয়েই লেপ-তোষক তৈরি করছেন। বর্তমান কার্পাস ও শিমুল তুলার দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকে লেপ-তোষক তৈরিতে গার্মেন্টের ঝুট ব্যবহার হচ্ছে।
এদিকে নগরীর আরডিএ বাজার, সাহেববাজার বস্ত্রের দোকান, গণকপাড়া পুরাতন কাপড়ের দোকান, চৌধুরী মার্কেট, গণকপাড়া গার্মেন্টসের দোকানসহ অন্যান্য মার্কেটের প্রতিটি শীতের পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেচা বিক্রিও হয়েছে বেশ ভালো। জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন ফুটপাতের পুরনো পোশাকের দোকানের মালিক রাসেল আহমেদ জানান, এ মৌসুমের মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে কেনাবেচা হয়েছে সব থেকে বেশি। শীত বেশি নামায় দোকানে ক্রেতার ভিড় সবসময় লেগেই থাকে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো, তাই ব্যবসায় এখন ভালো দিনে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এআর