
নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে প্রেস মেশিনের ঝনঝন শব্দে নির্বাচনী আমেজ দেখা যেত চট্টগ্রামের প্রেস পাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লা এলাকায় । দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি থাকলেও এই প্রেস পাড়ায় নেই কোন প্রেস মেশিনের ঝনঝন শব্দ।
সোমবার বিকালে আন্দরকিল্লা এলাকার এ প্রেস পাড়া ঘুরে দেখা গেল অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছে। গেল নয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারপত্র, পোষ্টার ও লিফলেট ছাপানো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও এবার অলস সময় কাটাচ্ছে তারা ।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনকে ঘিরে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত সময় কাটানো কথা থাকলেও এবার অলস সময় কাটাচ্ছে তারা। অন্য সময়গুলোর নির্বাচনের তুলনায় ১০ শতাংশ পরিমানও কাজ হচ্ছে না । একটি ইউনিয়ন নির্বাচনে যে পরিমান কাজ পাওয়া যেত এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সে পরিনাম কাজ পায়নি বলে জানিয়েছেন তারা। এ চিত্র কোন একটি প্রেস ও প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের নয় এটি নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকার পুরো তিনশ’র মতো প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের।
হাজী এস আলম প্রেসের স্বত্তাধিকারী সাইফুর আলম জানান, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ হওয়ার পর থেকে দম ফেলার কোন সুযোগ ছিল না। গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী ২০ থেকে ৪০ হাজার পরিমান পোস্টার ছাপাতেন এখন পর্যন্ত আমরা কয়েকজন প্রার্থী থেকে সে পরিমান পোষ্টার ছাপাতে পারি নাই। গত নির্বাচনে এসময় বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দিলেও এসময়ে এসে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছিনা। দৈনিক খরচ পুষিয়ে উঠায় মুশকিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ না করায় জনগনের মাঝে তেমন কোনও আগ্রহ নেই। তাছাড়া এ নির্বাচন অল্পসময়ের জন্য হবে এমন সম্ভাবনা থাকায় প্রার্থীরা খরচ করছে না ।
চট্টগ্রামের ১৬ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭ টিতে একক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন হবে ৯ টি আসনের ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে। তার মধ্যে শক্ত প্রতিদন্দীতায় হবে এমন আসনের সংখ্যা কম।