
সিপিডি, আসক, টিআইবি ও সুজন কর্তৃক আয়োজিত “সংকটে বাংলাদেশঃ নাগরিক ভাবনা” শীর্ষক সংলাপে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে দেওয়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তৃতার বিরোধীতা করেছে সংগঠনগুলো।
রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ‘সংকটে বাংলাদেশ:নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে দেওয়া সৈয়দ আশরাফের বক্তৃতার পর গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনগুলো।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান জনাব এইচ টি ইমাম উপস্থিত থাকার সম্মতি প্রদান করেছিলেন। একই সাথে সিপিডি’র চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীকে সংলাপে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি নির্বাচনি ইস্তেহারের কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ও মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে আমন্ত্রন জানানো হলে তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সম্মতি প্রদান করেছিলেন। এছাড়া ইমেইল,এসএমএস বা সরাসরি ফোনের মাধ্যমে আরও যাদের আমন্ত্রন জানানো হয়, তারা হলেন -সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এমপি, মোহাম্মদ নাসিম, মেজর জেনারেল (অবঃ) কে. এম. শফিউল্লাহ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন; ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুস শহিদ এমপি, লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান, ড.আব্দুর রাজ্জাক, সাবের হোসেন চৌধুরী, মেহের আফরোজ চুমকী, অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী, আসাদুজ্জামান নূর, জনাব ইসরাফিল আলম এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন সহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য রাশেদ খান মেনন সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। আর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত থাকতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তার বিমান চট্টগ্রাম থেকে ২৭ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় অবতরণ করতে না পারায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
অতএব, সিপিডি, আসক, টিআইবি ও সুজন কর্তৃক আয়োজিত শনিবারের সংলাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি – এ বক্তব্যটি সঠিক নয়।