রোববার বিএনপির মার্চ ফর ডেমোক্রেসির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতাই রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত পাড়ার ফুটপাতের খাবার দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে মতিঝিল, পল্টন, মৌচাক, ধানমন্ডি, গুলিস্থান, যাত্রাবড়ি, গাবতলী, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত পাড়াগুলোর এমন চিত্র পাওয়া যায়।
পল্টন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের উপ পরিদর্শক অহিদুজ্জামান অর্থসূচককে জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণ এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে খেতে বসে যেন কোনও ধরণের নাশকতার স্বীকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এ নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে পুলিশ ফুটপাতের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়াতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে অনেক দোকানি। তারা বলছে রাজনৈতিক সংকটের কারণে গত দু’মাসে তারা এ ধরণের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মতিঝিল এলাকার ফুটপাতের চা দোকানি মহসিন বলেন, ‘আইজ সকালে দোকান খুইলা কেতলিতে চায়ের লিকার ছাড়তে না ছাড়তেই পুলিশ দোকান বন্ধ করতে কইছে। দেশের রাজনীতি কি হইতাছে না হইতাছে তা দিয়া আমাগো পেট চলেনা। দোকান খুললে খাওন জোটে না খুললে ফ্যামিলী লইয়া না খাইয়া থাকন লাগে’।
দোকান বন্ধ থাকাই ফুটপাতের এসব খাবারের দোকান গুলোর খদ্দেররাও পড়েছেন বিপাকে। নগরীতে অনেক দূর হাটার পরেও খাবারের দোকান কিংবা চায়ের দোকান মিলছেনা বলে অভিযোগ করলেন অনেকে। ফুটপাতের এসব খাবারের দোকান বন্ধ থাকাই অনেক নিম্নবিত্তদের পোহাতে হচ্ছে দূভোর্গ। তেমনি একজন হলেন রিক্সা চালক শফিকুল। শফিকুল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিকসা চালিয়ে রাজধানীর যে কোনও এলাকার ফুটপাতের খাবার দোকান পেলেই খেতে বসত। আজ দুপুরে তিনি খেতে বসবেন এমন কোনও দোকানই পেলেন না ।
শফিকুল বলেন, ‘কামাই যেমুন তেমুনি খাইতে হইব দেইখখা ফুটপাতে খাই। আইজ দেহি ফুটপাতের বেবাক দোকান বন্ধ। কি করি কনত? এহন হোটেলে খাইতে গেলে রিকসা পাহারা দিব কেডা আর এত ট্যাকাও বা পামু কই’?
এমআর/