
সড়ক-মহাসড়কে নাশকতার আশঙ্কায় রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রংপুর থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে শ্রমিক ও চালকরা এব্যাপারে বলেছেন, এটা হরতালও না অবরোধও না শুধু বন্ধ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসন, শ্রমিক ও পরিবহন নেতাদের আকস্মিক নির্দেশে এ অচালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন যাত্রী সাধারণ।
এব্যাপারে পরিবহন কাউন্টার থেকে শ্রমিক ও চালকরা বলেছেন, এটা হরতালও না অবরোধও না শুধু বন্ধ। এসময় মাহবুব নামে এক শ্রমিক বলেন, এটা বুঝে নিতে হবে। এখনতো আর সবকিছু খুলে বলা যাচ্ছে না। তবে উপরের নির্দেশেই ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে তারা জানান।
এদিকে ঢাকামুখী দূরপাল্লার সব পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ রুটে সামান্য কিছু বাস চলাচলা করছে।
চালককে পুড়িয়ে হত্যা, সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে চালকরা নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে বলে রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আক্তার হোসেন বাদল জানিয়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারী আব্দুল মজিদ জানান, বাস চালক, শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ দাবিতে চালকরা এ সিন্ধান্ত নিয়েছে। এ শ্রমিক নেতা আরো জানান, সরকার চালক হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারলে ২৯ তারিখের পর চালকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে বিএনপির যুগ্ম জেলা আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু বলেন, সরকার ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বাতিল করার জন্য শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের দিয়ে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে।