
আগামি রোববারের সমাবেশকে ঘিরে জনমনে আতংক সৃষ্টির পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ফুটাপাথের দোকানগুলোতে। টানা অবরোধের পর ফুটপাথের বিক্রেতারা স্বাভাবিক ভাবে দোকান খুলেছিল। তবে ১৮ দলের সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া আতংকের কারণে সেই স্বাভাবিকতা ভেস্তে গেছে। বেচা বিক্রি নেমেছে নেমে এসেছে শুন্যের কোঠায়।
মোহাম্মাদ শাহীন আহমেদ, রাজধানীর জিপিও মোড়ে বড় চাদর ও তোয়ালে বিক্রি করছেন। সকাল থেকে এখনও একটি চাদর কিংবা তোয়ালে বিক্রি করতে পারেননি তিনি। অথচ হরতাল-অবরোধের মধ্যেও ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রি করেন তিনি।
তিনি জানান, ক্রেতা আসবে কি করে, যদি গণপরিবহন বন্ধ থাকে। আতংকের কারণে মানুষ বের হতে পারছে না। এক দিন দোকান খুললে পুলিশকে ১০০ টাকা দিতে হয়। সেই পরিমাণ বিক্রিও হয়নি আজ।
মতিঝিল ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিচে রাস্তায় জুতা বিক্রি করেন সবুজ মিয়া। পুলিশ দুই দিন মতিঝিলের ফুটপাথে দোকান খুলতে না দেওয়ায় আজ বসেছেন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর পাশে। সারা দিনে একজোড়া জুতা বিক্রি করছেন তিনি। মানুষের মাঝে আতংকের কারণে ক্রেতা নেই দোকানে এমনটাই জানান তিনি
আর পল্টন মোড়ের নূরুল আলম ইলিয়াস বাচ্চাদের শীতের পোশাক বিক্রি করেছেন মোটে ৮০ টাকা। তবে অন্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ বিক্রি নেই বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশের ৮০ টাকা ও বাতি ব্যবহারে ২০ টাকা কোথা থেকে দিবেন তা জানেন না তিনি।
এভাবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়দাবাদ, গুলিস্থান, মতিঝিল, পল্টন, এলাকা ঘুরে এই চিত্র চোখে পড়ে। এই সব এলাকার ফুটপাথের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধে যেখানে ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়ে গেছে। সেখানে আবার এমন আতংকে তাদের কোমর ভেঙ্গে যাচ্ছে। এমন সহিংসতা ও আতংকের সমাধান চান তারা।
তবে দুই রাজনৈতিক জোটের এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেশকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে। নাকি সহিংসতা আরও বাড়াবে। এমন প্রশ্নের উত্তর না খুজে নিরাপদ পরিবেশে ব্যবসা করতে চান ব্যবসায়ীরা।