ব্যাংক ক্লোজিংয়ের প্রভাব বাজারে

DSE_Tradeপুঁজিবাজারে ব্যাংক ক্লোজিং তথা হিসাব বছর শেষের প্রভাব পড়েছে।আগামি ৩১ ডিসেম্বর তাদের হিসাব বছর শেষ হবে।তার আগে সবগুলো ব্যাংক তাদের হাতে থাকা শেয়ারের একাংশ বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে,যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সামগ্রিক মুনাফায় তা ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্যাংক ক্লোজিংজনিত বিক্রির চাপে বাজারে শেয়ারের দাম কমছে।তাই পর পর দ্বিতীয় সপ্তাহের মত সূচক কমেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।ব্যাংক ক্লোজিংয়ের কারণে লেনদেনও কমে গেছে।এ মুহূর্তে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করছে,কিনছে তার তুলনায় খুবই কম।নতুন বছর শুরু হওয়ার পর ব্যাংকের নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা হয়। আর সে অনুসারে দেওয়া হয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ।নতুন বছরের প্রথম এক/দুই সপ্তাহ লেগে যায় বিনিয়োগ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে।

অবশ্য ব্যাংক ক্লোজিংয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাজারে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে।জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে একে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, সংঘাত ততই বাড়ছে।প্রধান বিরোধী দল এ নির্বাচনের বাইরে থাকায় সুষ্ঠুভাবে এটি অনুষ্ঠিত হবে কি-না,হলেও তাতে অস্থিরতা কমবে কি-না তা নিয়ে উদ্বেগ দূর হচ্ছে না।এ কারণেও অনেক বিনিয়োগকারী এখন সাইডলাইনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

 

পরিসংখ্যানে দেখা যায়,গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)লেনদেন প্রায় সাত শতাংশ কমেছে।আগের সপ্তাহে এ স্টক এক্সচেঞ্জে দৈনিক গড়ে ৫১২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।গত সপ্তাহে তা কমে ৪৭৭ কোটি টাকায় নেমে আসে।

এ সপ্তাহে ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৪৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।আগের সপ্তাহে তা ৫৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমেছিল।সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল চার হাজার ২৪৪ পয়েন্টে,সপ্তাহ শেষে তা কমে চার হাজার ২০০ পয়েন্টে নেমে আসে।

গত সপ্তাহে র শুরুতে ডিএসইতে ২৯৬ কোম্পানির শেয়ার কেনা-বেচা হয়।এদের মধ্যে দাম বাড়ে মাত্র ২৯ শতাংশ বা ৮৭ কোম্পানির শেয়ারের,কমে ১৯০ টি বা ৬৪ শতাংশের দাম।