আসছে কৃত্রিম কিডনি

artificial kidneyকৃত্রিম হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা পৃথিবী জুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। এই সাফল্যের দিন দুই না পেরুতেই আরেকটি সাফল্যের সুখবর জানাচ্ছেন তারা। এবার গবেষণাগারে চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম কিডনি। আয়তনে খানিকটা ক্ষুদ্র হলেও জৈব কিডনির সাথে এর ব্যবহারিক বা চারিত্রিক দিক দিয়ে আর কোন অমিল নেই।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বিশেষ তাপমাত্রা এবং রসায়নের মিশ্রনে স্টেম সেল রেখে নির্দিষ্ট সময় পর পর সেলগুলিকে বিভিন্ন অনুঘটক রসায়নে ভেজানো হয়। শুরুতে স্টেম সেলগুলিকে কিডনির ভিতরের কোষের মতো কোষে রুপান্তরিত করার চেষ্ঠা চলে। সাফল্য পাওয়ায় এই পদ্ধতিতে কিডনি গঠনকারী দু’টি বিশেষ ধরনের কোষ তৈরি করতে সফল হন গবেষকরা। সবশেষে কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে সেই কোষগুলিকে আয়তনে বাড়ানো হতে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের ইনস্টিটিউট ফর মলিকিউলার বায়োসায়ন্স -এর বিজ্ঞানিরা এই কৃত্রিম কিডনি তৈরি করেছেন। স্টেম সেলের সাহায্যে তারা ল্যাবরেটরির পেট্রি ডিসের কৃত্রিম পরিবেশে এই ক্ষুদ্র কিডনি তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন।

বিজ্ঞানিদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কিডনি বিকল হওয়া রোগীদের নতুন জীবন দেবে এই কৃত্রিম কিডনি। একই সঙ্গে এর সাহায্যে জৈব-কিডনির ওপর ওষুধের প্রভাব কেমন, তাও বোঝা সম্ভব হবে।

গবেষকদলের প্রধান মেলিসা লিটল জানিয়েছেন, প্রথমে আমরা এক ধরনের কোষ তৈরি করতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত্ত দেখলাম দুই ধরনের কোষ তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই দুই প্রজাতির কোষের সমষ্টিই কিডনি গঠন করে।

কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে চিকিৎসা হচ্ছে হয় ডায়ালিসিস কর, নাহয় নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন কর। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামোর যথেষ্ট না হওয়ায় রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় এই সাফল্য কত যুগান্তকারী ভেবে দেখুন একবার।