
আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আজ থেকে আগামি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। ওই দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনা মোতায়েনের এ কথা জানান।
শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করেন সেনাসদস্যরা। শীতকালীন মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাসদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন ব্যারাক থেকে জেলায় জেলায় যাওয়া শুরু করেছেন সেনাসদস্যরা। প্রতিটি জেলায় সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ জন সেনাসদস্য) মোতায়েন থাকবে।
মূলত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাসদস্যরা থাকবেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। ভোটের দিন সেনাসদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিনগুলোতেও যে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাসদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে একটি সেল গঠন করা হবে। সেনা, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একজন করে প্রতিনিধি এই সেলে থাকবেন। র্যাব ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলবর্তী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করব
১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে তিন থেকে পাঁচ দিন আগে সেনা মোতায়েন করা হতো। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যায়। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১২ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।