
২৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে মার্চ ফর হিপোক্রেসি বা মার্চ ফর অটোক্রেসি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি এ কর্মসূচিকে বেআইনি এবং অগণতান্ত্রিক বলেও মন্তব্য করেন।
বুধবার দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জোহরা তাজউদ্দিন স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিতবলেন, “শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এবং শপথের আলোকেই তাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি তার দায়িত্ব হিসেবেই সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাই নির্বাচনের বিরোধিতা করাই হিপোক্রেসি ও অটোক্রেসি”।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষ পতাকা বুকে রাখে আর তিনি পতাকার সাথে লাঠি আনার কথা বলেছেন। লাঠির সাথে পতাকা আনার মানে হলো এমন একটি মার্চ যা সহিংস ও অশান্তিপূর্ণ। বিশ্বের কোনো গণতন্ত্রের ব্যাকরণেই লাঠি নিয়ে মার্চ সংবিধান সম্মত নয়। তাই খালেদা জিয়ার এই মার্চ সম্পূর্ণরূপে বেআইনি”।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের পর্যবেক্ষক না পাঠানো প্রসংগ টেনে সুরঞ্জিত বলেন, “আমরা তো তাদেরকে দাওয়াত করিনি, তারা আসার কথা বলে কিভাবে”।
২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শক্তভাবে মাঠে থাকার কথাও ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোহরা তাজউদ্দিন সম্পর্কে তিনি বলেন, “নীতিবান রাজনীতির অনির্বাণ শিখা হচ্ছে তাজউদ্দিন পরিবার। এদেশের প্রগতিবাদী রাজনৈতিক আন্দোলনের অগ্রদূত হলেন জোহরা তাজউদ্দিন”।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাড. ইয়াদিয়া জামান, আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রওশন আরা শিকদার ডেইজি প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জোহরা তাজউদ্দিনের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এসএসআর/ এআর